কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কলেজ ছাত্র আশিক হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা।

কুড়িগ্রাম ডিবি পুলিশের ওসি নাজমুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ২১ মামলার আসামি সাদ্দাম গ্রেপ্তার

ফারুক হত্যা: সা‌বেক এম‌পি রানাসহ ৪ ভাই খালাস

পুলিশ জানায়, আশিক হত্যার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ দলের ১০৪ নেতাকর্মীর নামে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গত বছরের ১০ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন।

নিহত আশিক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। তিনি উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন আশিক ও তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গিয়েছিলেন। আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হলে প্রথমে বাসায় আসে। পরে আঘাতের ব্যথায় বমি করলে ১৮ আগস্ট প্রথমে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হলে ১ সেপ্টেম্বর আশিক মারা যায়।

কুড়িগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজমুল আলম জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

ঢাকা/সৈকত/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ