নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বুধবার (৪ জুন) সকালে ফেসবুকে তিনি এ তথ্য জানান। 

সেখানে তিনি লেখেন, “প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে।”

এর আগে গত ৩ জুন রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো নেতাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের, শুল্ক কমে ১৫ শতাংশ

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামীকাল ১ আগস্ট কয়েক ডজন দেশের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এ চুক্তির বিষয়টি জানানো হলো।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, একটি ‘সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ’ বাণিজ্য চুক্তির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক বলবৎ থাকবে। তবে মার্কিন রপ্তানি পণ্যে কোনো শুল্ক থাকবে না।

ট্রাম্প আরও জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ৩৫ হাজার কোটি বা ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এসব বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ’ থাকবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ১০ হাজার কোটি বা ১০০ বিলিয়ন ডলারের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও অন্যান্য জ্বালানি পণ্য কিনবে।

এ ছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে নিজস্ব বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ‘বড় অঙ্কের’ অর্থ লগ্নি করতে রাজি হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রকল্প বা খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য হবে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক লাভ ও স্বার্থ নিশ্চিত করা। যদিও এ বিনিয়োগের পরিমাণ জানানো হয়নি। আগামী ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে’ হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের সফর করার কথা রয়েছে। তখন এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের হঠাৎ সামরিক আইন জারির জেরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক মাস রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। অস্থিরতা কাটিয়ে গত জুনে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন লি জে-মিয়ং। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আরেকটি অনিশ্চয়তায় পড়তে হয় দেশটিকে।

আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ বেশ কিছু দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প০৭ জুলাই ২০২৫

এখন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং বলেছেন, এটা সব ধরনের ‘অনিশ্চয়তা দূর করবে’ এবং এটা নিশ্চিত করবে যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিযোগীদের তুলনায় সমান অথবা কম পরিমাণে শুল্ক দেবে।

১ আগস্টের আগে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো না গেলে দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া দেশটির ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, যানবাহন ও পরিবহন যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের কথা ছিল।

আরও পড়ুনট্রাম্পের শুল্কের লক্ষ্য এশীয় দেশগুলো, কে জিতছে১৪ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের নতুন পাল্টা শুল্ক, নড়েচড়ে বসেছে সব দেশ০৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ