জিৎ বনাম প্রসেনজিৎ, প্রথমবার ওয়েব সিরিজে এসে চমকে দিলেন
Published: 4th, February 2025 GMT
একসঙ্গে প্রসেনজিত আর জিৎকে ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে এমন কথা বছরখানেক আগে কেউ কল্পনাও করেনি হয়তো। সেটাই এখন হচ্ছে। তবে বাংলা নয়, হিন্দি একটি ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের। ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে তার টিজার। আর তা নিয়েই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দর্শকদের মাঝে।
নীরজ পাণ্ডে পরিচালিত এই সিরিজটির নাম ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। যার কাস্টিং নিয়ে প্রথম থেকেই চর্চা ছিল তুঙ্গে। প্রসেনজিৎ-জিৎ ছাড়াও পরমব্রত চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জিদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়াটা দর্শকদের জন্য এক বিরাট ‘ট্রিট’ হতে চলেছে। মঙ্গলবার সিরিজের টিজার প্রকাশ পেতেই বোঝা গেল কতটা জমজমাট হতে চলেছে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’।
হিন্দি এই ওয়েব সিরিজে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় জিৎ। অন্যদিকে রাজনীতিবিদের চরিত্রে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। পুলিশের ভূমিকায় আছেন পরমব্রতও। শাশ্বতকে দেখা গেল সাদা পাঞ্জাবিতে। তার ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসি। অন্য দৃশ্যে তিনি নিজেই কপালে ঠেকাচ্ছেন পিস্তল।
টিজার জুড়ে একটা উত্তেজনার আবহ দেখা গেছে। শুরুতেই বন্দুক, কার্তুজের ঝলক। পুলিশ, রাজনীতি ও খুনের কোলাজে জমজমাট দৃশ্যগুলি নিঃসন্দেহে কৌতূহলোদ্দীপক।
২০২২ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘খাকি: দ্য বিহার চ্যাপ্টার’। করণ ট্যাকার, অবিনাশ তিওয়ারি, অভিমন্যু সিংয়ের মতো অভিনেতারা ছিলেন সেখানে। এরপর থেকেই নাকি ‘খাকি: বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর প্রস্তুতি শুরু করে দেন নীরজ। অবশেষে মুক্তি পেল টিজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ-১: বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত চার নেতা এক মঞ্চে, একসঙ্গে বিক্ষোভ
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত চার নেতা এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রথমে পৃথক স্থানে সমাবেশ করেন তাঁরা। পরে একত্র হয়ে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ওই চার নেতা।
গত বৃহস্পতিবার এ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দেয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে। প্রথম দফায় মনোনয়ন ঘোষণার সময় আসনটি ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। এ আসনে অন্তত আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবার প্রত্যাশা ভঙ্গ করে মাজহারুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতা চান। তবে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি। অন্যদিকে তাঁর মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে আসছেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা।
গতকাল সন্ধ্যায় শহরের স্টেশন রোডে নিজ কার্যালয়ে সমাবেশ করেন মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান (চুন্নু)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। একই সময়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সমাবেশ করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ (ভিপি সোহেল)। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে ‘অযোগ্য’ আখ্যায়িত করেন বক্তারা। একই সঙ্গে তাঁর মনোনয়নের জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমকে দায়ী করেন। তাঁকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলেও উল্লেখ করা হয়। অবিলম্বে মনোনয়ন বাতিল করে ‘যোগ্য ও ত্যাগী’ নেতাকে মনোনীত করার দাবি তোলেন তাঁরা। সমাবেশে রেজাউল করিম খান বলেন, ‘এটা আমার শেষ নির্বাচন। কাজেই এই নির্বাচনে অবশ্যই অংশ নেব।’
এ আসনে অন্তত আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম।সমাবেশ শেষে রেজাউল করিম খান, রুহুল হোসাইন, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ সাইফুল্লাহ—এই চার নেতা এক রিকশায় চড়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম ও মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। পরে স্টেশন রোড এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বড় দলে অনেক প্রার্থী থাকাটাই স্বাভাবিক। সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। আমার প্রতি দলের আস্থা আছে বলেই মনোনয়ন দিয়েছে। রাজনীতির শিষ্টাচার ও শালীনতা বজায় রাখা উচিত।’
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘আমি মনে করি, দল যোগ্য লোককেই মনোনয়ন দিয়েছে। সবাইকে শান্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর জন্য কাজ করা উচিত। এমন কিছু করা ঠিক নয়, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, দেশনেত্রী এখন অসুস্থ। আন্দোলন-সংগ্রাম রেখে তাঁর জন্য দোয়া করা উচিত।’