সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
Published: 4th, February 2025 GMT
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য প্রতিরোধে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে থানা পুকুর পার হয়ে মিনাবাজার দিয়ে মন্ডলপাড়া পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয় একটা একটা লীগ ধর, 'ধইরা ধইরা জেলে ভর' আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের চামড়া তুলে নিব আমরা'।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মিঠু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি আক্তার হোসেন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি জুলহাস সরদার, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রম্যা নয়, রজনীকান্তের পছন্দ ছিল ঐশ্বরিয়া
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার রজনীকান্ত। তার অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘পডিয়াপ্পা’। কে. এস. রবিকুমার নির্মিত তামিল ভাষার এ সিনেমা ১৯৯৯ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তি পায়। সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্রে ‘পডিয়াপ্পা’ ও ‘নীলাম্বরি’। এ দুটো চরিত্র যথাক্রমে রূপায়ন করেন রজনীকান্ত ও রম্যা কৃষ্ণান। ২৬ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি পুনরায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে এটি।
‘পডিয়াপ্পা’ সিনেমার পুনরায় মুক্তি উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা রজনীকান্ত। তাতে তিনি জানান, কালজয়ী সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘নীলাম্বরি’ এর জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
আরো পড়ুন:
রজনীকান্ত-ধানুশের বাড়িতে বোমা আতঙ্ক
কত আয় করল রজনীকান্তের ‘কুলি’?
‘দ্য রিটার্ন অব পডিয়াপ্পা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে ভিডিওটি। তাতে রজনীকান্ত জানান, ‘নীলাম্বরি’ চরিত্রটি যখন কল্পনা করেছিলেন, তখন এটি তামিল সিনেমার অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্র ছিল। সেই সময়ে রজনীকান্তের মনে কেবল ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ছবিই ভেসে উঠেছিল। চরিত্রটিতে কাস্ট করার জন্য সিনেমাটির টিম ৩ মাস চেষ্টা করেছিল। এমনকি, ঐশ্বরিয়ার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। ঐশ্বরিয়া যদি চরিত্রটিতে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করতেন, তবে নির্মাতারা এক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও রাজি ছিলেন। কারণ রজনীকান্তের বিশ্বাস ছিল, সিনেমাটির সফলতা অনেকটাই ‘নীলাম্বরি’ চরিত্রের উপর নির্ভর করছে।
সঠিক ‘নীলাম্বরি’ ছাড়া সিনেমাটি চলবে না। কিন্তু ঐশ্বরিয়া আগ্রহী ছিলেন না। এ তথ্য উল্লেখ করে রজনীকান্ত বলেন, “যদি তিনি (ঐশ্বরিয়া) বলতেন যে, ‘চরিত্রটি ভালো এবং আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ তবে আমরা এক বছর অপেক্ষা করতাম। কারণ এই চরিত্রটি সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা দরকার ছিল। না হলে সিনেমাটা ভালো চলবে না। আমরা পরে বুঝতে পারি এই চরিত্রে আগ্রহী নন তিনি।”
পরে রজনীকান্ত সিনেমাটির পরিচালক কে. এস. রবিকুমারকে বলেছিলেন, ‘সিনেমাটি কেবল তখনই সফল হবে, যখন নীলাম্বরি চরিত্রে এমন কাউকে নেওয়া হবে যার চোখে শক্তি আছে, যার উপস্থিতি দাপুটে। আর উপযুক্ত কোনো অভিনেত্রীকে পাওয়া না গেলে প্রজেক্টটির কাজ স্থগিত রাখা উচিত।’ পরে পরিচালক রম্যা কৃষ্ণানের নাম প্রস্তাব করেন। শেষ পর্যন্ত রম্যা সিনেমাটির অংশ হন বলেও জানান রজনীকান্ত।
ভক্তদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়ে রজনীকান্ত কালজয়ী সিনেমাটির সিক্যুয়েল নির্মাণের প্রস্তাব দেন। সিক্যুয়েলটির নাম হতে পারে—‘নীলাম্বরি: পডিয়াপ্পা টু’। তবে নির্মাতারা এ নিয়ে কোনো বক্তব্য এখনো দেননি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত