বিপিএলের ২০২৫ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি। ফাইনালে চিটাগংয়ের ১৯৪ রান তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছে বরিশাল।

ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এছাড়া টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ। 

তামিম দলকে শিরোপা জেতানোর পথে ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা আসে। তার চেয়ে চিটাগংয়ের খাজা নাফি ও পারভেজ ইমন বেশি রান করেন। নাফি ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন। ইমন ৪৯ বলে খেলেন ৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস। 

তবে তামিম দলকে জেতানো ফিফটি করার ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন। বিসিবির পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে ৫ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার পাবেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও ওপেনার। 

টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া মিরাজ দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তিনি ১৪ ম্যাচে ৩৫৫ রান করেন। বল হাতে নেন ১৩ উইকেট। যে কারণে তাকে টুর্নামেন্ট সেরা ঘোষণা করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া ডানহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডার ১০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পাবেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে শেষবারের মতো বাংলাদেশি মায়ের মুখ দেখলেন ভারতীয় মেয়ে

বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যুর পর তাঁর ভারতীয় মেয়ের অনুরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বিজিবি জানায়, গতকাল সোমবার রাতে বার্ধক্যের কারণে মারা যান বাংলাদেশি তারা বানু (৮০)। খবর পেয়ে ভারতের মালদা জেলার দুইশতবিঘি গ্রামের বাসিন্দা মেয়ে মালেকা বেগম বিএসএফের মাধ্যমে লাশ দেখার আবেদন করেন বিজিবির কাছে। বিষয়টি জানার পর মানবিক বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি। আজ মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ সীমান্তের কিরণগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩–এস–এর শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে স্বজনদের লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

শূন্যরেখায় মায়ের মুখ দেখে আবেগে ভেঙে পড়েন মেয়ে মালেকা বেগম। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখার এমন সুযোগ পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তারা বানুর ছেলে কুরবান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোট বোনটাক শেষবারের মতো মায়ের মুখখান দেখাইতে পারনু। নাহিলে সারা জীবনের লাইগ্যা আফসোস থাইক্যা যাইতোক অরও, হামারও। বোনটার সাথে ভগ্নিপতি, দুই ভাগনি, ভাগনিজামাইসহ ১৫–১৬ জন আত্মীয় আইস্যাছিল। কাঁটাতারের বেড়ার আগে অবাধে যাওয়া–আসা ছিল। মাত্র তো দুই শ গজ দূরের গাঁ। এপারের অনেক মেয়ের যেমন ওপারে বিয়ে হয়েছে, তেমনি ওপারের অনেক মেয়ে এপারে আছে। হামি বিজিবি–বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এর আগে গত শুক্রবার একই সীমান্তে ভারতীয় মৃত বোনের মুখ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি ভাই।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজিবি সব সময় মানবিক প্রয়োজনে সহানুভূতিশীল ভূমিকা পালন করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ