নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আকরাম শেখ (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জয়নগর ইউনিয়নের চর জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আকরাম শেখ চর জয়নগর গ্রামের হেকমত শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চর জয়নগর গ্রামের আনসার জমাদ্দার পক্ষের সঙ্গে একই গ্রামের হেকমত শেখের পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

বুধবার রাতে হেকমত শেখের ছেলে আকরাম শেখ স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে গেলে আনসার জমাদার পক্ষের ১৫-২০ জন তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আকরাম শেখ নিহত হয়েছেন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শরিফুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আকর ম শ খ

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার সাবমেরিন রুখতে আটলান্টিকের গভীরে যুক্তরাজ্যের ড্রোন, কতটা কাজে দেবে

আটলান্টিক মহাসাগরে স্কটল্যান্ডের পশ্চিত উপকূল। সাগরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হলো সাবমেরিন আকৃতির ছোট একটি যন্ত্র। দেখতে ডানাওয়ালা টর্পেডো বা পানির নিচ দিয়ে চলা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো। দ্রুতই সেটি হারিয়ে গেল গভীর সমুদ্রে।

এই যন্ত্র আসলে একধরনের ড্রোন। নাম ‘এসজি–১ ফ্যাথম’। ফ্যাথমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ক্যাটি রেইন বলেন, এই ড্রোনগুলো গভীর সাগরে টহল দিতে পারে। একই সঙ্গে সাগরের ওই অঞ্চলে শত্রুপক্ষের যেকোনো ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে।

শত্রু বলতে মূলত বোঝানো হচ্ছে রাশিয়ার নৌবাহিনীর সাবমেরিনগুলোকে। অনেক সময় সেগুলো যুক্তরাজ্যের জলসীমার কাছাকাছি এসে গোপনে অভিযান চালায়। সন্দেহ করা হয়, সাগরের নিচে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তার ও পাইপলাইনের তথ্য নিতে গোয়েন্দা জাহাজের সঙ্গে মিলে কাজ করে এসব রুশ সাবমেরিন।

রাশিয়ার মহাসাগর গবেষণাসংক্রান্ত নৌযান ইয়ানতার গত মাসে যুক্তরাজ্যের জলসীমার নিচের তার ও পাইপলাইনের তথ্য নিচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। ওই নৌযান থেকে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ারফোর্সের যুদ্ধবিমানের পাইলটদের ওপর লেজার রশ্মি ফেলা হয়েছিল।

ফ্যাথম তৈরি করেছে জার্মানির প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান হেলসিং। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভি এটির আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছে। ফ্যাথম সাগরের নিচ দিয়ে নিঃশব্দে চলাচল করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সেন্সরের মাধ্যমে অবিরাম সংগ্রহ করে যেতে পারে নানা তথ্য।

সাগরের নিচে মাসের পর মাস ধরে টহল দিয়ে যেতে পারে এ ড্রোন। এ ক্ষেত্রে একই ধরনের অন্যান্য ড্রোনের সহায়তা নিতে পারে তারা। এগুলো পরিচালনার সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা তথ্যভান্ডারের ওপর ভিত্তি করে। ক্যাটি রেইন বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এগুলো বেশি দ্রুত হুমকি শনাক্ত করতে পারে।

ফ্যাথম যদি শেষ পর্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে তা আটলান্টিক ব্যাস্টিয়নের একটি অংশ হতে পারে। রয়্যাল নেভির আটলান্টিক ব্যাস্টিয়ন ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ ও নজরদারি উড়োজাহাজের একটি নেটওয়ার্ক। আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অবকাঠামোর সুরক্ষা দেওয়াই এ নেটওয়ার্কের কাজ।

আটলান্টিক ব্যাস্টিয়ন নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সাবমেরিনের এবং পানির নিচে দেশটির অন্যান্য কার্যক্রমে নতুন করে যে তৎপরতা শুরু হয়েছে, তার সরাসরি জবাব এই নেটওয়ার্ক। যুক্তরাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে তাদের জলসীমার জন্য হুমকি হয়ে ওঠা রুশ নৌযানের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

রাশিয়ার একটি সাবমেরিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ