অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে মাদক পাচারের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তবে লঘু অপরাধে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ জন্য তাঁর শাস্তি হতে পারে।

ম্যাকগিলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে নিষিদ্ধ মাদক কোকেন সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়। জানা যায়, তিনি ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের কোকেন চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কারণে তাঁকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে আজ সিডনি জেলা আদালতের একটি জুরি জানিয়েছে, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল কোকেন পাচারে যুক্ত থাকলেও তাঁর রেস্তোরাঁ থেকে শুরু হওয়া বৃহৎ পরিসরের আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এ কারণে আদালতের রায় তাঁর পক্ষে গেছে। মামলার শুনানি ৮ সপ্তাহ মুলতবি থাকার পর আজ চূড়ান্ত ফয়সালা হয়েছে।

স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের বিরুদ্ধে আনা গুরুতর অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছে’ বলার পর বরিশালে তোপের মুখে এবি পার্টির ফুয়াদ

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মীরগঞ্জ সেতুর নির্মাণকাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছে ‘স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছে’—গণমাধ্যমে এমন বক্তব্য দেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এবি পার্টি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার পর ভিত্তিপ্রস্তরের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান।

এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টার একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মীরগঞ্জ সেতুর ঠিকাদারদের কাছে স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছে।’ তাঁর এই বক্তব্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তাঁরা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান এবং কয়েকজনকে তেড়ে আসতে দেখা যায়। পরে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আসাদুজ্জামান তাঁর নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও ‘ভুয়া ভুয়া’সহ বিভিন্ন উত্তেজনাকর স্লোগান দিতে দিতে তাঁকে অনুসরণ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার পর আসাদুজ্জামানের মন্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আল আমিন। আতিকুর রহমান বলেন, আসাদুজ্জামান ফুয়াদের মন্তব্যে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁর এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলায় তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এলাকাবাসী ইতিমধ্যে রাজনৈতিক ছদ্মাবরণে সেতুর নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তারা যদি এখানে এখানে কোনোভাবে হুমকির আশ্রয় নেয় তবে কাজটি ঝুলে যাবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘কে এখানে বালু দেবে, কে পাথর দেবে—এসব বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাঁদের কাজ দিতে বাধ্য করছে। কাজ না দিলে তাঁরা কাজ করতে দেবে না—এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুদক, প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণকে আহ্বান জানাব, যাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বিঘ্ন-নিরাপদে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারে, সেই পরিবেশ আপনারা নিশ্চিত করুন।’

আসাদুজ্জামানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এবি পার্টি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটাও ঘটে। আজ রোববার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জে

সম্পর্কিত নিবন্ধ