এআইয়ের কারণে র্যানসমওয়্যার হামলা আরও বিপজ্জনক হচ্ছে
Published: 13th, March 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে বর্তমানে সাইবার হামলার ধরন বদলে যাচ্ছে। এর ফলে র্যানসামওয়্যার হামলা আগের তুলনায় আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ওয়েন হ্যানকিন্স। সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তাকৌশলকে ঢেলে সাজানো পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
ডেটা ব্রিচ ইনভেস্টিগেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর পরিচালিত সাইবার হামলার মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশই র্যানসামওয়্যার হামলা। গত কয়েক বছর ধরেই র্যানসমওয়্যার হামলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ভয়ংকর হুমকি হয়ে উঠেছে। এই ধরনের সাইবার হামলায় আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও গ্রাহকের আস্থা নষ্ট হয়।
আরও পড়ুনসাইবার হামলা থেকে স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে মানতে হবে এই ৫ নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গত দুই বছরে সাইবার আক্রমণে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ফিশিং ও ডিপফেক আক্রমণের জন্য এখন এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের জটিল আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হ্যানকিন্স বলেন, প্রথমত আমাদের ফিশিং ও ডেটা চুরির বিষয়টি দ্রুত শনাক্তের জন্য কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমরা ধরে নিতে পারি এমন আক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়বে। আর তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুনআপনার ওয়াই-ফাই অন্য কেউ ব্যবহার করছে কি২৯ নভেম্বর ২০২২বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, র্যানসমওয়্যার হামলা চালানো বিভিন্ন দল বর্তমানে ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। আর তাই এক হাজারের কম কর্মী আছে এমন ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আগের তুলনায় বেশি র্যানসমওয়্যার হামলা হচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে ‘জিরো ক্লিক’ সাইবার হামলা, যেভাবে চুরি হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরখানে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর উত্তরখানে গ্যাসের লাইন লিকেজের আগুনে দগ্ধ এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন স্বামী ময়নুল (৪০) ও স্ত্রী আনোয়ারা (৩২)। ময়নুল পেশায় রিকশাচালক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই দম্পতি দগ্ধ হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে একজন আর রাত ১০টার পরে অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, এই দম্পতি উত্তরখানের ভূইয়াবাড়ি বাঁশতলায় একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন। রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন লাইটার দিয়ে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় আগুনে তাঁরা দগ্ধ হন। তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নেভান। পরে দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলের পাশের সড়কে সিটি করপোরেশনের কাজ চলছিল। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় ওই বাসার গ্যাসের লাইন ফেটে যায়। গত কয়েক দিন ধরেই ফেটে যাওয়া লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। সেখান থেকেই গ্যাস লিকেজ হয়েছে। পরে বুধবার রাতেই ফায়ার সার্ভিস এসে পুলিশের উপস্থিতিতে গ্যাস লাইনের লিকেজ বন্ধ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।