কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে বর্তমানে সাইবার হামলার ধরন বদলে যাচ্ছে। এর ফলে র‍্যানসামওয়্যার হামলা আগের তুলনায় আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ওয়েন হ্যানকিন্স। সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তাকৌশলকে ঢেলে সাজানো পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

ডেটা ব্রিচ ইনভেস্টিগেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর পরিচালিত সাইবার হামলার মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশই র‍্যানসামওয়্যার হামলা। গত কয়েক বছর ধরেই র‍্যানসমওয়্যার হামলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ভয়ংকর হুমকি হয়ে উঠেছে। এই ধরনের সাইবার হামলায় আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও গ্রাহকের আস্থা নষ্ট হয়।

আরও পড়ুনসাইবার হামলা থেকে স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে মানতে হবে এই ৫ নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গত দুই বছরে সাইবার আক্রমণে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ফিশিং ও ডিপফেক আক্রমণের জন্য এখন এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের জটিল আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হ্যানকিন্স বলেন, প্রথমত আমাদের ফিশিং ও ডেটা চুরির বিষয়টি দ্রুত শনাক্তের জন্য কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমরা ধরে নিতে পারি এমন আক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়বে। আর তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুনআপনার ওয়াই-ফাই অন্য কেউ ব্যবহার করছে কি২৯ নভেম্বর ২০২২

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, র‍্যানসমওয়্যার হামলা চালানো বিভিন্ন দল বর্তমানে ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। আর তাই এক হাজারের কম কর্মী আছে এমন ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আগের তুলনায় বেশি র‍্যানসমওয়্যার হামলা হচ্ছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে ‘জিরো ক্লিক’ সাইবার হামলা, যেভাবে চুরি হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা

মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির  গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।

মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা