আমাদেরকে কম্প্রোমাইজিং নীতিতে আসতে হবে : সাদ্দাম
Published: 22nd, November 2025 GMT
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে যারা টাকা লুটপাট করছে এই মানুষগুলিও শিক্ষিত ছিল। বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়া।অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপিও ছিল।
অনেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছে। বিদেশে লেখাপড়া করেছে। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে তারা অভিযুক্ত হয়েছে। এদেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা তারা লুণ্ঠন করেছে।
যে টাকা লুটপাট করেছে তা দিয়ে বাংলাদেশের ৮ বছরের বাজেট হয়ে যেত। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আট বছরের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা তারা লুটপাট করেছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে ছাত্রশিবির আয়োজিত কেরিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, অথচ এই টাকা যদি এ দেশে ইনভেস্ট করা হতো ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হতো। তাহলে যুবক শ্রেণীর মধ্যে চাকরি নিয়ে আর এত হাহাকার তৈরি হতো না।
দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে আমরা তাদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা রেমিটেন্স আয় করতে পারতাম। দেশটা স্বনির্ভরশীল আত্মপ্রত্যয় একটি উন্নত দেশে পরিণত হতো। আমাদেরকে চরিত্রের এই জায়গায় নো কমপোমাইজিং নীতিতে আসতে হবে জীবনে এই কথা মনে রাখবেন।
তিনি বলেন,প্রিয় বন্ধুরা আমি আপনাদেরকে আহ্বান জানাই। তরুণদেরকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে এজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টরেন্ট নীতি গ্রহণ করতে হবে।
আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো প্রত্যেকেই প্রত্যেকেই দাসত্বের জীবন থেকে বের হয়ে একেকজন আত্মপ্রত্যয়ী স্বনির্ভর সীল মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কলেজ তত্বাবধায়ক ইমরান হাসান তুহিনের সঞ্চালনায় ও জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান, নিউরোলজি ডা.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কেরানীগঞ্জে ‘হেলে পড়া’ ভবন খালি করতে প্রশাসনের নির্দেশ মানা হয়নি
গতকাল শুক্রবারের ভূমিকম্পে ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন লছমনগঞ্জ এলাকায় একটি সাততলা ভবন হেলে পড়ার পর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসন কর্তৃক ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও ভবনমালিক নির্দেশনা মানছেন না। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন ভবনের ভাড়াটিয়ারাও।
ভবনটি আবদুর সাত্তার মিয়ার মালিকানাধীন। গতকাল সকালে ভূমিকম্পের পর ভবনটি পাশের নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের ওপরে কাত হয়ে পড়ে। পরে রাতেই উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে ভবনের মালিক ও ভাড়াটিয়াদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
আজ শনিবার বিকেলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) ঢাকা জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম ভবনটি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন থেকে খবর পেয়ে ভবনটি পরিদর্শনে এসেছি। প্রাথমিক পরিমাপ নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলকে বিষয়টি জানানো হবে। তাদের মতামত পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আজ সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, সাততলা ভবনটি পাশ্ববর্তী ভুট্টু মিয়ার নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের উপরের দিকে কাত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির ১৩টি ফ্ল্যাটে এখনো ১৩টি পরিবার বসবাস করছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উৎসুক জনতা ভবনের সামনে ভিড় জমিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভবনের এক ভাড়াটিয়া বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় ভয়ে বাচ্চাদের নিয়ে নিচে নেমে আসি। বাইরে এসে দেখি, ভবনটা পাশের বাড়ির দিকে কাত হয়ে গেছে। এখনো ভয় কাটছে না। গতকাল রাতে প্রশাসন বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেছে, কিন্তু বাড়িওয়ালা থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “সমস্যা নেই, তোমরা এখানে থাকো। কোনো সমস্যা হলে আমি বুঝব।’”
ভবনটি কতটা হেলে পড়েছে তা পরিমাপ করছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তারা। শনিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ফেরিঘাট সংলগ্ন লছমনগঞ্জ এলাকায়