ভূমিকম্পে হুড়োহুড়িতে আহত ২৯ শ্রমিক এখনো হাসপাতালে
Published: 22nd, November 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ডেনিমেক লিমিটেডের তৈরি পোশাক কারখানায় ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে আহত শ্রমিকদের ২৯ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের সময় শ্রমিকদের ধাক্কায় প্রধান গেট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর থেকে কারখানা স্বাভাবিকভাবে চালু রয়েছে। একইসঙ্গে গেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত সংস্কার কাজ চলছে।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাভারে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮
ভূমিকম্পের মুহূর্তে শ্রমিকেরা ভবন থেকে বের হওয়ার সময় মূল গেট বন্ধ থাকায় হুড়োহুড়ি সৃষ্টি হয়। শ্রমিকেরা সম্মিলিতভাবে ধাক্কা দিলে কারখানার একটি দেয়াল কাঠামো থেকে গেট খুলে যায়। ছোটাছুটি করতে গিয়ে অনেকে পদদলিত হয়ে আহত হয়।
কারখানার প্রশাসনিক সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জনসহ মোট ২৯ জন শ্রমিক এখনো চিকিৎসাধীন। তাদের অনেকের আজই ছাড় পাওয়ার কথা।
শ্রমিক মো.
অন্য শ্রমিক আবদুল ওয়াহাব বলেন, “অনেকে পড়ে গিয়ে পায়ে-হাতে, কোমরে আঘাত পেয়েছেন। বেশিরভাগই নারী শ্রমিক।” তিনি জানান, অধিকাংশ আহত শ্রমিক চিকিৎসা শেষে আবার কাজে ফিরেছে।
ডেনিমেক লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) রুবেল মাহমুদ বলেন, “দুটি হাসপাতালে মোট ২৯ জন শ্রমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা, পরিবারের সহায়তা ও যাতায়াত– সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করছি। কারখানার কার্যক্রম যথানিয়মে চলছে।”
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পের পর কমপক্ষে ১৫০ জন শ্রমিক সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ, ঢাকা ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ঢাকা/রফিক/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প র
এছাড়াও পড়ুন:
অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালানকৃত এবং ক্লোন করা ফোন বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “অবৈধ ফোনের সাথে নানাবিধ অপরাধসমূহ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে যেমন, সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন/ eKYC এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ, জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো, ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন/ eKYC এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ, অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং, অবৈধ ক্লোন ফোন সংক্রান্ত অপরাধ, প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যাল্টি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ আনবক্সড মোবাইল ফোন আমদানি, বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টি, সীমান্ত চোরাচালান, স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্প বিকাশকে বাধা দেওয়া ইত্যাদি। অর্থাৎ নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতির ও রাষ্ট্রের বহু স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নানাবিধ বিষয় এখানে জড়িত। এর জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিডা, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি, ব্যাংকিং খাত, বিএফআইইউ এবং এনবিআর-এর ক্রমাগত অনুরোধ আছে আমাদের ওপর। উপরন্তু, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন।”
বর্তমানে ১টা International Mobile Equipment Identity (IMEI) কোডের বিপরীতে লাখ লাখ ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “NEIR চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না। এজন্য NEIR বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, HS code,সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে, এর সাথে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআরের সাথে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে। গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। এরইমধ্যে জানানো হয়েছে যে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিসমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেওয়া হচ্ছে বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা