নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ
Published: 23rd, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানার কয়লার কলে বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শ্রমিকদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আতিকুর রহমান (৪২), তোরাব আলী (৫৫), ফেরদৌস (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩৫), কামাল হোসেন (৪৫) ও নাহিদ হাসান (২২)।
দগ্ধ শ্রমিকদের সহকর্মী মোবারক হোসেন বলেন, সিমেন্ট প্ল্যান্টের কয়লার কলে কয়লা পিষে গুঁড়া করা হয়। সেই গুঁড়া কয়লা ভাট্টিতে তাপ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। কয়লার কলে কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়লে তাঁদের ছয় সহকর্মী দগ্ধ হন। রাত নয়টার দিকে তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আতিকুর রহমানের শরীরের ২৭ শতাংশ, তোরাব আলীর ১৬ শতাংশ, ফেরদৌসের ১০ শতাংশ, তাজুল ইসলামের ১২ শতাংশ, কামাল হোসেনের ২৬ শতাংশ ও নাহিদ হাসানের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সবার শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। দগ্ধ ছয় শ্রমিককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় বিস্ফোরণে উত্তপ্ত কয়লা ছিটকে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সদর থানার মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দায়েরকৃত মাদক মামলায় আ. জলিল (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আ. জলিল (৩৫) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার মো. মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে। তবে রায় ঘোষণার সময়ে সে পলাতক ছিলো।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২০২৪ সালের ৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বঙ্গববন্ধু সড়কের রেইনবো এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিসের সামনে অবস্থানকালে আ. জলিলকে ব্যাব-১১ গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাকে তল্লালী চালিয়ে ৩৩৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে আ. জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তিনি ফেন্সিডিল কেনাবেচা করতো। পরে এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।