ফ্যাসিবাদী আমলে ছাত্রশিবিরকে বিভিন্নভাবে ট্যাগিং করা হয়েছে: সাদিক কায়েম
Published: 22nd, November 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাছে নারীরা অনিরাপদ। ছাত্রশিবিরকে বিভিন্নভাবে ফ্রেমিং, ট্যাগিং করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরকে দানব আকারে হাজির করা হয়েছে।’
আজ শনিবার সকালে রাজশাহী কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষ ও উচ্চমাধ্যমিকের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাদিক কায়েম এ কথা বলেন। রাজশাহী কলেজের মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শাখা ছাত্রশিবির।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘বিভিন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখন হচ্ছিল, তখন বলা হচ্ছিল শিবিরকে নারীরা পছন্দ করে না। শিবিরকে তারা ভোট দেবে না। কিন্তু আমরা কি সেটা দেখতে পেয়েছি? শিবিরকে এ দেশের সব মানুষ তাদের সবচেয়ে প্রিয়জন হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং এই জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘরে আজকে পরিণত হয়েছে। শিবিরের হাতেই দেশের মানুষ নিরাপদ।’
ডাকসুর ভিপি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের বোনেরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। বাংলাদেশে শিবির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একটা উদাহরণ কেউ দিতে পারবে না যে শিবিরের কোনো নেতা তৃণমূল থেকে একদম কেন্দ্র পর্যন্ত—কোনো বোনকে, কোনো নারীকে শ্লীলতাহানি করেছে, ধর্ষণ করেছে। একটা উদাহরণও দিতে পারবে না।’
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, রাকসুর ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন; রাজশাহী মহানগরের সভাপতি শামীম উদ্দীন ও মহানগরের সাবেক সভাপতি সিফাত উল আলম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ব রক
এছাড়াও পড়ুন:
সিংহের গর্জন বুঝতে পারে এআই
বনের সিংহের গর্জন রাতের নীরবতা যেন ভেঙে দেয়। গর্জনে আমরা ভয় পাই, কিন্তু বুঝতে পারি না। একটি নতুন গবেষণায় প্রতিটি গর্জনের তথ্য জানার কৌশল বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা সিংহের একটি গর্জনের সময় চার ধরনের শব্দ শনাক্ত করেছেন। এই কাজ করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে। বিভিন্ন সিংহের গর্জন একটি ডেটাবেসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দেখা যায়, একটি সিংহ নরম গর্জন দিয়ে শুরু করে। তারপর পুরো গলা দিয়ে শক্তিশালী গর্জন দেয়। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত মধ্যবর্তী গর্জনে স্থানান্তরিত হয়। আর সব শেষে ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ দিয়ে শেষ করে। আগে মনে করা হতো সিংহ একবারই গর্জন করে।
নতুন গবেষণায় ভিন্ন ধরনের গর্জনের তথ্য মিলেছে, যার উত্থান বেশ সংক্ষিপ্ত, পতন দ্রুত ও সর্বোচ্চ কম্পাঙ্ক নিম্ন। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের বিজ্ঞানী জোনাথন গ্রোকট বলেন, ‘সিংহের গর্জন আকর্ষণীয়। একেকটি গর্জন স্বতন্ত্র স্বাক্ষর, যা সিংহের জনসংখ্যার আকার অনুমান করতে ও নিরীক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এআই ব্যবহার করে গর্জন শনাক্তকরণে আমাদের নতুন পদ্ধতি আরও নির্ভুল।’
বয়স, সামাজিক অবস্থান এবং দৈনিক ছন্দের সঙ্গে গর্জনের আচরণ পরিবর্তিত হয়। এআইয়ের মাধ্যমে এই পরিবর্তন বোঝা যায়। কম বয়সী প্রাণীরা কম ডাকে। দলের বাইরের পুরুষেরা গর্জন এড়িয়ে চলে, কারণ উচ্চ কণ্ঠস্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের আকর্ষণ করতে পারে। ভোর হওয়ার আগে গর্জন করে চূড়ায় পৌঁছায় সিংহ, তখন শব্দ অনেক দূর পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে। পানির উত্স আরও বেশি কণ্ঠস্বরজনিত কার্যকলাপে পরিবর্তন দেখা যায়।
নারী সিংহ বা সিংহীরাও ডাকে। যদিও নতুন মায়েরা শাবকদের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ এড়াতে প্রায়ই শান্ত থাকে। গর্জনের মাধ্যমে নিজের আচরণ প্রতিফলিত করে। এসব তথ্য এআই দিয়ে জানা গেছে। এআই প্রতিটি শব্দের ধরণের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেখায়। পুরো গলার গর্জন বেশ দীর্ঘতর হয় এবং উচ্চতর কম্পাঙ্কে পৌঁছায়। মধ্যবর্তী গর্জন দ্রুত ওঠে ও দ্রুত নামে।
জিম্বাবুয়ে কলার পরানো সিংহদের রেকর্ডিংয়ে এআই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এমন এআই-ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস স্বতন্ত্র প্রাণীদের শনাক্তকরণ উন্নত করছে। গবেষণাটি ইকোলজি অ্যান্ড ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: আর্থ