আগের দিনই সাকিব আল হাসানের ২৪৬ টেস্ট উইকেটকে ছাড়িয়ে তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকায় শীর্ষে উঠেছিলেন। এজন‌্য তাইজুলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব। ২৪৯ উইকেট নিয়ে ঢাকায় আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিলেন তাইজুল।

রোববার সাত সকালেই বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছেন আরো একটি উইকেট। তাতে ২৫০ টেস্ট উইকেটের চূড়ায় উঠেছেন তিনি। সাকিবের প্রত‌্যাশা, ক‌্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত তাইজুলের নামের পাশে ৪০০ টেস্ট উইকেট থাকবে।

আরো পড়ুন:

সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব

৪১০ রানের ম‌্যাচে ৫ ছক্কা ৫ চারে সাকিবের ২৬ বলে ৬১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে এক পোস্টে সাকিব বলেছেন, ‘‘অভিনন্দন তাইজুল, আমি দেখতে পাচ্ছি যে ক‌্যারিয়ার শেষ করার সময় তোমার ৪০০ টেস্ট উইকেট থাকবে। শুভকামনা।’’

রোববার সকালে এই পোস্ট করেন সাকিব। মাঠে নেমে তাইজুল অ‌্যান্ডি ম‌্যাকব্রাইনের উইকেট পান। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তার টেস্ট অভিষেক। ক‌্যারিবীয়ান দ্বীপপুঞ্জে প্রথম ম‌্যাচেই বাজিমাত করে পেয়ে যান ফাইফার। অভিষেকের আগে ওই বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে ২২.

৭ গড়ে ৫৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। এছাড়া ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি চারদিনের ম‌্যাচে তার শিকার ছিল ৯ উইকেট।

কখনো সাকিবের অনুপস্থিতিতি, কখনো সাফল‌্যের পার্শ্ব-বোলার হিসেবে তাইজুল বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। নায়ক হয়েও থাকতেন আড়ালে। পাদপ্রদীপের আলো বাইরে।

২০১৪ থেকে ২০২৫ সময় গড়িয়েছে অনেক। তাইজুলও নিজের অবস্থান করেছেন শক্তপোক্ত। তবে আড়াল থেকে তাইজুল আলোতে আসতে পেরেছেন শেষ কয়েক বছরই হলো। বিশেষ করে ২০১৭ সালের পর থেকে সাকিব যখন টেস্টে অনিয়মিত, তাইজুল প্রধানতম স্পিনার হিসেবে নিয়মিত খেলে আসছিলেন।

তাইজুলের অভিষেকের আগে সাকিব ৩৪ টেস্ট খেলেছেন। তার নেওয়া ২৪৬ উইকেটের ১২২টিই ওই সময়ে পেয়েছিলেন। তাইজুলের আগমণের পর বাকি ১২৪ উইকেট পেয়েছেন ৩৭ টেস্টে। সেই সাকিবকে এখন টেস্টে ছাড়িয়ে উইকেট-পর্বতের চূড়ায় তাইজুল।

বাংলাদেশের তিন স্পিনার টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ২০০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছিল ৫৪ টেস্ট, তাইজুল সেটা ছুঁয়েছেন ৪৮ টেস্টেই। মিরাজের লেগেছিল ৫২ টেস্ট। সাকিব থাকায় কম্বিনেশনের কারণে টেস্টের একাদশে তাইজুল সুযোগ পেতেন না অনেক সময়। দেশের মাটিতে সুযোগ হলেও বাইরে একেবারে কালেভাদ্রে।

সাকিবের সঙ্গে ৭১ টেস্টে মাত্র ২৬টিতে ছিলেন তাইজুল। যার ২২টি দেশের মাঠে। ৪টি বাইরে। যেই ৪টি দেশের বাইরে তার মধ‌্যে ২টি ভারতে এবং ১টি করে শ্রীলঙ্কায় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। পারফরম‌্যান্সের বিচারে দুইজন কাছাকাছি অবস্থান করছেন। একসঙ্গে খেলা ২৬ টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ‌্যা ১০২টি। তাইজুলের ৯৪টি। দেশে সাকিবের উইকেট ৮৪টি। তাইজুলের ৮৫টি। অ‌্যাওয়েতে সাকিবের শিকার ১৮টি। তাইজুলের ৯টি।

সাকিবের সঙ্গে খেলায় তাইজুল যতটা কার্যকারী ভূমিকা রাখেন, অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে তাইজুল ততটাই ধ্রুপদী। ৩১ ম‌্যাচে ৫৩ ইনিংসে ১৫৫* উইকেট পেয়েছেন ২৯.১২ গড়ে। ক‌্যারিয়ারের ১৭ ফাইফারের ১৩টিই পেয়েছেন সাকিববিহীন ম‌্যাচে। পরিসংখ‌্যানই বলে দেয়, সাকিবের ছায়া থেকে বেরিয়ে তাইজুল হয়ে উঠেন আরো দ‌্যোদিপ‌্যমান। দায়িত্বের মশাল থাকে তার হাতেই। হতে হয় স্পিন আক্রমণের নেতা। এখন পর্বতের চূড়ায়।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন ট স ট উইক ট ন ত ইজ ল ত ইজ ল র উইক ট প উইক ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে ছাড়িয়ে উইকেট শৃঙ্গে তাইজুল

ঢাকা টেস্টে ৫ উইকেটের অপেক্ষায় ছিলেন তাইজুল ইসলাম। আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই তার শিকার ২ উইকেট। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ উইকেট।

তাতেই বিরাট এক কীর্তি গড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকায় সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে এখন শীর্ষে তাইজুল। সাকিবের উইকেট ২৪৬টি। শৃঙ্গে উঠা তাইজুলের পকেটে ২৪৮ উইকেট।

আরো পড়ুন:

শততম টেস্ট: সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে পন্টিংয়ের পাশে মুশফিকুর

৩ উইকেটে ৮৮ রান তুলে চা বিরতিতে আয়ারল্যান্ড

২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তার টেস্ট অভিষেক। ক‌্যারিবীয়ান দ্বীপপুঞ্জে প্রথম ম‌্যাচেই বাজিমাত করে পেয়ে যান ফাইফার। অভিষেকের আগে ওই বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে ২২.৭ গড়ে ৫৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। এছাড়া ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি চারদিনের ম‌্যাচে তার শিকার ছিল ৯ উইকেট।

কখনো সাকিবের অনুপস্থিতিতি, কখনো সাফল‌্যের পার্শ্ব-বোলার হিসেবে তাইজুল বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। নায়ক হয়েও থাকতেন আড়ালে। পাদপ্রদীপের আলো বাইরে। সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংকে তো একবার বলেওছিলেন, ‘‘আমাদের আরেকজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্পিনার আছে সাকিব, যে তাইজুলের আগে থাকে। তাই তাইজুল সবসময় সামনে থাকে না। কিন্তু রেকর্ড তার পক্ষ কথা বলছে। আপনারা হয়ত সে ভালো করলেই শুধু কথা বলেন।’’

২০১৪ থেকে ২০২৫ সময় গড়িয়েছে অনেক। তাইজুলও নিজের অবস্থান করেছেন শক্তপোক্ত। তবে আড়াল থেকে তাইজুল আলোতে আসতে পেরেছেন শেষ কয়েক বছরই হলো। বিশেষ করে ২০১৭ সালের পর থেকে সাকিব যখন টেস্টে অনিয়মিত, তাইজুল প্রধানতম স্পিনার হিসেবে নিয়মিত খেলে আসছিলেন।

তাইজুলের অভিষেকের আগে সাকিব ৩৪ টেস্ট খেলেছেন। তার নেওয়া ২৪৬ উইকেটের ১২২টিই ওই সময়ে পেয়েছিলেন। তাইজুলের আগমণের পর বাকি ১২৪ উইকেট পেয়েছেন ৩৭ টেস্টে। সেই সাকিবকে এখন টেস্টে ছাড়িয়ে উইকেট-পর্বতের চূড়ায় তাইজুল।

বাংলাদেশের তিন স্পিনার টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ২০০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছিল ৫৪ টেস্ট, তাইজুল সেটা ছুঁয়েছেন ৪৮ টেস্টেই। মিরাজের লেগেছিল ৫২ টেস্ট। সাকিব থাকায় কম্বিনেশনের কারণে টেস্টের একাদশে তাইজুল সুযোগ পেতেন না অনেক সময়। দেশের মাটিতে সুযোগ হলেও বাইরে একেবারে কালেভাদ্রে।

সাকিবের সঙ্গে ৭১ টেস্টে মাত্র ২৬টিতে ছিলেন তাইজুল। যার ২২টি দেশের মাঠে। ৪টি বাইরে। যেই ৪টি দেশের বাইরে তার মধ‌্যে ২টি ভারতে এবং ১টি করে শ্রীলঙ্কায় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। পারফরম‌্যান্সের বিচারে দুইজন কাছাকাছি অবস্থান করছেন। একসঙ্গে খেলা ২৬ টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ‌্যা ১০২টি। তাইজুলের ৯৪টি। দেশে সাকিবের উইকেট ৮৪টি। তাইজুলের ৮৫টি। অ‌্যাওয়েতে সাকিবের শিকার ১৮টি। তাইজুলের ৯টি।

সাকিবের সঙ্গে খেলায় তাইজুল যতটা কার্যকারী ভূমিকা রাখেন, অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে তাইজুল ততটাই ধ্রুপদী। ৩১ ম‌্যাচে ৫৩ ইনিংসে ১৫৪* উইকেট পেয়েছেন ২৯.১২ গড়ে। ক‌্যারিয়ারের ১৭ ফাইফারের ১৩টিই পেয়েছেন সাকিববিহীন ম‌্যাচে। পরিসংখ‌্যানই বলে দেয়, সাকিবের ছায়া থেকে বেরিয়ে তাইজুল হয়ে উঠেন আরো দ‌্যোদিপ‌্যমান। দায়িত্বের মশাল থাকে তার হাতেই। হতে হয় স্পিন আক্রমণের নেতা। এখন পর্বতের চূড়ায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবকে ছাড়িয়ে উইকেট শৃঙ্গে তাইজুল