তাইজুল ইসলাম হয়তো অনেক শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন। সামনেও পাবেন। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বলে কথা! তবে ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের দেওয়া বার্তাটি তাইজুলের জন্য একটু বিশেষই হওয়ার কথা। কারণ, সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডটা গড়েছেন তিনি এই সাকিবকে টপকেই।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা হাতছাড়া হওয়ার পর সাকিব অভিনন্দন জানিয়েছেন তাইজুলকে। সঙ্গে এ–ও বলেছেন, তাইজুলের ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেটও দেখছেন তিনি।

২৪২ টেস্ট উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান মিরপুর টেস্ট শুরু করেছিলেন তাইজুল। তখন তিনি সাকিবের চেয়ে ৪ উইকেট পেছনে ছিলেন। ঘাটতিটা পূরণ করে ফেলেন প্রথম ইনিংসেই। আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে রেকর্ড গড়ার জন্য একটি উইকেটই দরকার ছিল। সেটিই গতকাল অ্যান্ডি বলবার্নিকে এলবিডব্লু করে পেয়ে যান তাইজুল।

সাকিবকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির রেকর্ড গড়ার পর শনিবার আরও দুটি উইকেট পেয়েছেন তাইজুল। তাতে বাঁহাতি এই স্পিনারের উইকেট এখন ২৪৯টি। মানে আরও একটি মাইলফলকের (আড়াই শ উইকেট) দেখা তিনি আজ পেতে পারেন।

২০১৩ সালের নভেম্বরে আরেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিককে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছিলেন সাকিব। সেই রেকর্ড তাঁর ছিল টানা এক যুগ। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে কারও দুই শ উইকেটও নেই বলে তাইজুলের রাজত্বও অনেক দিন চলার কথা। সাকিব তো মনে করেন, তাইজুল ৪০০ টেস্ট উইকেটের মালিকও হতে পারেন। ফেসবুকে সাকিব তাইজুলকে নিয়ে বলেছেন, ‘অভিনন্দন তাইজুল। আমি মনে করি, ক্যারিয়ার শেষে তোমার নামের পাশে ৪০০ উইকেট থাকবে। শুভকামনা।’

মিরপুর টেস্টটি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট। বিশেষ এই টেস্টে রেকর্ড গড়া তাইজুলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুশফিকও। ফেসবুকে মুশফিক লিখেছেন, ‘টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট.

..অভিনন্দন তাইজুল। আরও আসছে, ইনশা আল্লাহ।’

বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ফেসবুকে তাইজুলকে নিয়ে লিখেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার জন্য অভিনন্দন তাইজুল ভাই। কী দারুণ ঐতিহাসিক অর্জন! আপনি সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, নিজের ভূমিকা নীরবে সততার সঙ্গে নিখুঁতভাবে পালন করেছেন। আমি আপনার জন্য খুব গর্বিত। আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুন।’
তাইজুলকে ফেসবুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাসও।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ চ উইক ট ন ত ইজ ল র র কর ড ফ সব ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চর্বি কমতে শুরু করলে শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

‘‘চর্বি জমে গেলে রক্তের ভেতর প্রবেশ করে- রক্তের গ্লুকোজ আর কোলেস্টেরলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’’ – এমনটাই মনে করেন চিকিৎসকেরা। 

কনটিনেন্টাল হসপিটালের তথ্য ‘‘দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং দ্রুত হাঁটার মতো দৈনন্দিন অভ্যাস পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।’’

আরো পড়ুন:

হেলটস: দাস হওয়ার শর্তে জীবন ভিক্ষা পাওয়া এক জাতি

শীতের পোশাক ভালো রাখার উপায়

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। তবে চর্বি কমলে শুরুর দিকে ওজন নাও কমতে পারে। কিন্তু চর্বি কমা শুরু হওয়া মাত্র শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়। যেমন কোমর, পেট, ঊরু সরু হতে শুরু করে, ফলে পোশাকগুলো ঢিলে মনে হয়। এটি চর্বি কমার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। এ ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন মেদ বা চর্বি কমতে শুরু করেছে। 

ওজন হ্রাস 
যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে চর্বি কমানোর চেষ্টা করা হয়, তবে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন কমতে শুরু করে। শরীর হালকা লাগে। 

শরীরের গঠন পরিবর্তন
আয়নায় নিজেকে দেখতে ভিন্ন মনে হতে পারে। শরীরের কিছু অংশ দৃঢ় হতে পারে। 

বেশি শক্তি অনুভব করা
শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমতে শুরু করলে শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে। প্রতিদিনের কাজকর্মে ক্লান্তি কম অনুভূত হতে পারে।

হজমের উন্নতি
চর্বি কমলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হতে পারে এবং পেট ফাঁপা ভাব কমতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
চর্বি কমার ফলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং সামগ্রিক মেজাজ ভালো থাকে।

ঘুমের মান বৃদ্ধি
শারীরিক পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে রাতের ঘুম ভালো হতে পারে। 

এই পরিবর্তনগুলো সাধারণত রাতারাতি হয়। স্বাস্থ্যকর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে চর্বি কমানোর জন্য ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ। 

উল্লেখ্য, শরীরের চর্বি পরিমাপ করতে চাইলে ক্যালিপার পরীক্ষা, হাইড্রোস্ট্যাটিক ওজন, DEXA স্ক্যান বা বায়োইলেক্ট্রিক্যাল ইম্পিডেন্স বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। জিমনেশিয়াম বা স্বাস্থ্য ক্লাবগুলোতে এধরনের পরীক্ষা করার সুবিধা পাওয়া যায়।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ