ভীতির পরিবেশেও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছে প্রথম আলো
Published: 22nd, November 2025 GMT
নানা চড়াই-উতরাই ও ভীতির পরিবেশেও প্রথম আলো তার সাহসিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ধারা বজায় রেখেছে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় যে ভীতি ও চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল, তা মোকাবিলা করে পত্রিকাটি মানুষের আস্থার জায়গা ধরে রেখেছে।
প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহীতে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এ সব কথা বলেন। নগরের অলকার মোড়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মিলনায়তনে আয়োজিত এই সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গণমাধ্যমের সম্পাদক, শিক্ষক, সমাজকর্মী, কৃষি উদ্যোক্তা, কর্মকর্তা, সংবাদপত্র এজেন্টসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এবং তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।
সুধী সমাবেশে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের অলকার মোড়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মিলনায়তনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্যুটিংয়ে নিয়ে মডেলকে ধর্ষণ: পরিচালক নাসিরুদ্দিন গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে নাটকের শ্যুটিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিসোর্টে নিয়ে এক নারী মডেলকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি পরিচালক নাসিরুদ্দিন মাসুদকে দুই মাস পর গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ।
আরো পড়ুন:
মিস ইউনিভার্স: যে রাউন্ডে মিথিলার স্বপ্নভঙ্গ
‘মিস ইউনিভার্স’ বিজয়ী ফাতিমা
পুলিশ পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে নাসিরুদ্দিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরা বটতলা এলাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে গাজীপুর ডিবির একটি দল। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’’
পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ বলেন, “এ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রধান আসামি ধরা পড়ায় ঘটনার সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট ও অন্য জড়িতদের ভূমিকা বের করা সহজ হবে।”
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী মডেল হিসেবে কাজ করেন। তাকে জানানো হয়েছিল নাসিরুদ্দিন নাটকের পরিচালক এবং তার সহযোগী বাবর। নাটকের শুটিংয়ের কথা বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে শ্রীপুরের ‘রাস’ নামে রিসোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গভীর রাতে একটি কক্ষে আটকে রেখে নাসির, বাবর ও পরিচয়হীন আরেক ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পর দিন বিকেলে নির্যাতনের পর তাকে রিসোর্টের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা তার ব্যবহৃত আইফোনটিও ছিনিয়ে নেয়, যার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী সেই তৃতীয় ব্যক্তির পরিচয়ও শনাক্ত করেন। তার নাম আবুল হাসেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এমন নৈতিক অপরাধ করে আসছেন।
প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ওই মডেল। তিনি বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কিছুটা হলেও আস্থা ফিরে পেয়েছি। তবে আমার ওপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে, এতে যারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হলে আরও সন্তুষ্ট হতাম। নিয়মিত আমাকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এখন আশা করি বিচার পাব।”
শ্রীপুর থানায় দায়ের করা মামলায় নাসির (৩৫), বাবর (৩২) ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করা হয়েছে। এখন তিনজনের পরিচয়ই নিশ্চিত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা/রফিক/বকুল