ছোট থেকেই চারুকলা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। আঁকাআঁকির প্রতি ছিল আলাদা টান। কিন্তু স্কুলশিক্ষক বাবা-মা সেই ইচ্ছাটাকে খুব একটা ভালোভাবে নেননি। তাঁদের ধারণা, চারুকলায় পড়লে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তারপরও দুবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি পরীক্ষা দেন, কিন্তু কোনোবারই নির্বাচিত হতে পারেননি রুদ্র রায়।
এই ব্যর্থতা শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও হতাশ করে। আত্মীয়স্বজনের কটাক্ষ, বাবা-মায়ের সহকর্মীদের প্রশ্ন আর তুলনা—সব মিলিয়ে চাপ বাড়তে থাকে। তাঁর প্রেমিকা পর্যন্ত মন্তব্য করেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চেয়ে বিয়ে করে ফেলা ভালো।’ কথাটি রুদ্রকে আঘাত করে। এর মধ্যেই খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। চারুকলার পথ বন্ধ হলেও সেখানেই আরেকটা নতুন পথের খোঁজ পান রুদ্র, থিয়েটার। স্বপ্ন দেখেন একদিন অনেক বড় অভিনেতা হবেন, নাম লেখাবেন সিনেমায়। এ কথা শুনে তাঁর প্রেমিকা বলেছিলেন, ‘এই চেহারা নিয়ে নায়ক! সম্ভব না।’ রুদ্র তখন বলেছিলেন, ‘একদিন টিকিট কেটে আমাকে দেখতে আসতে হবে।’

রুদ্র রায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র কল

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ 

নারায়ণগঞ্জে একটি সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের রাজধানী ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বন্দর থানা এলাকার মদনগঞ্জে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

ভূমিকম্পে হুড়োহুড়িতে আহত ২৯ শ্রমিক এখনো হাসপাতালে

হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

দগ্ধরা হলেন- ফেনীর নাহিদ হাসান (২২), পাবনার কামাল হোসেন (৪৫), নোয়াখালীর তাইজুল ইসলাম (৩৫), জামালপুরের ফেরদৌস (৩৫), কুষ্টিয়ার তোরাব আলী (৫৫) এবং নারায়ণগঞ্জের আতিকুর রহমান (৪২)।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. রহিম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিমেন্ট কারখানায় বয়লার থেকে বিস্ফোরণ হয়। পাশে থাকা ছয়জন দগ্ধ হন। দ্রুত তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ছয়জনের শরীররই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে। শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ