প্রায় ৩৩ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও পার্শবর্তী এলাকায় চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তের পর শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জরুরি বার্তা দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ভূমিকম্প: শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ২ সপ্তাহ বন্ধ ঢাবি, হল ছাড়ার নির্দেশ

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় জবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রবিবার

রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ বার্তা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হলগুলো পুরোনো অবস্থায় আছে, এই হলগুলোর প্রতিটি রুমের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ ও সংস্কার করা প্রয়োজন।”

সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, “পর্যবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের ভাষ্যমতে চার সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সংস্কার করতে বলেছে। এজন্য সব হল খালি করা প্রয়োজন। এই দুই সপ্তাহ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল খালি করার নিদের্শনা দেওয়া হলো।” 

তিনি আরো বলেন, “যেহেতু তাদের রুম পর্যবেক্ষণ করতে হবে, সেহেতু হল খালি করার সময় শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের কাছে চাবি গচ্ছিত রাখতে বলা হলো। একইসঙ্গে রুমের মূল্যবান জিনিস সরিয়ে নিতে বলা হলো।”

খুব দ্রুতই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রক্টর।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল খ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জীবনানন্দের কবিতাকে শিল্পকর্মে তুলে আনলেন শিল্পীরা

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুষমামণ্ডিত হয়ে আছে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায়। কবিতার অনুরাগীরা তো বটেই, কবিতা নিয়ে যাঁদের আবেগ–উচ্ছ্বাস সুনিয়ন্ত্রিত, তাঁরাও জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে ধানসিড়ি নদী, হিজল-তমালের স্নিগ্ধ শ্যামলিমার কথা অবগত হয়ে থাকবেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়ে ১৯৩৫ সালে কবি বুদ্ধদেব বসুকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, তাঁর কবিতা ‘চিত্ররূপময়’। সেই থেকে জীবননান্দ দাশের কবিতার আলোচক-সমালোচকেরা কবিগুরুর দেওয়া এই আখ্যার বহুল ব্যবহার করেছেন। এবার দেশের প্রবীণ-নবীন শিল্পীরা কবির কবিতার সেই চিত্ররূপময়তা তুলে আনলেন তাঁদের চিত্রকলায়।

গত ২২ অক্টোবর ছিল জীবনানন্দ দাশের ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটিকে স্মরণ করে শনিবার শুরু হলো ‘ধানসিড়িটির তীরে’ নামে দুই দিনের যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় রাজধানীর লালমাটিয়ার ডি ব্লকের ৬/৪ বাড়ির ‘ভূমি গ্যালারি’তে প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পী শহিদ কবীর। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ‘চারুকলা বরিশাল’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্পী আবদুল মান্নান, শিল্পী কাজী মোজাম্মেল হোসেন, শিল্প সমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ ও শিল্পী সামছুল আলম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সুশান্ত ঘোষ।

প্রদর্শনীতে ২৮ জন শিল্পীর ৩৩টি শিল্পকর্ম রয়েছে। রোববার প্রদর্শনীর শেষ দিন। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন শহিদ কবীর, আবদুল মান্নান, আবদুস সাত্তার, চিন্ময় সিকদার, ফারজানা আহমদে, সামছুল আলম আজাদ, কাজী মোজাম্মেল হোসেন, জি এম খলিলুর রহমান, সোহাগ পারভেজ, জহির উদ্দীন, তাপস কর্মকার, কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, অপূর্ব দাস, জাহিদুর রহমান খান, অমলেন্দু মণ্ডল, কুন্তল বড়াই, এনামুজ জাহিদ, পলক দাস, অরুন চন্দ্র বর্মণ, স্মিতা রায়, আল আকসা, সালমা শিরীন, নুরুন্নাহার, পার্থ রায়, সুজাতা সেন, ফাইজুল ইসলাম, অভিষেক বসু ও ধনঞ্জয় বসু।

অ্যাক্রিলিক, জলরং ও মিশ্র মাধ্যমে জীবনানন্দ দাশের কবিতা অনুসরণ করে ছবি এঁকেছেন শিল্পীরা। আয়োজকেরা জানালেন, কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বর্ণিত বরিশালের নদ-নদী, পাখি, প্রকৃতি—এসব চিত্রকলায় তুলে আনার অভিপ্রায় নিয়ে গত বছরের জুন মাসের শেষে তাঁরা দুই দিনের একটি আর্ট ক্যাম্প করেছিলেন বরিশালে। সেখানে শিল্পীরা ধানসিড়ি নদী, কীত্তনখোলা নদীসহ বিভিন্ন নদীর তীরে বসে ছবি এঁকেছেন। পরে ঢাকার অনেক শিল্পীও কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার ভাবনা অবলম্বন করে তাঁদের চিত্রকর্ম রচনা করেছন। এসব শিল্পকর্ম নিয়েই এ প্রদর্শনীর আয়োজন। গত ২২ অক্টোবর কবির মৃত্যুদিনে প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে সে সময় গ্যালারির বুকিং না পাওয়ায় নভেম্বরের ২২ তারিখে প্রদর্শনীটি শুরু হলো। মূলত কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই এ আয়োজন।

‘ধানসিড়িটির তীরে’ নামে দুই দিনের যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে শিল্পী ও অতিথিরা। শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ার ভূমি গ্যালারিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ