ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন লক্ষ্মীপুরে
Published: 22nd, November 2025 GMT
ঢাকার পুরান শহরের বংশালের কসাইটুলীতে ভূমিকম্পে ইটের রেলিং পড়ে নিহত লক্ষ্মীপুরের আব্দুর রহিম (৪৮) ও তার ছেলে আব্দুল আজিজ রিমনের (১২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের আস-সুন্নাহ মাদ্রাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্স মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ভূমিকম্পে ধামরাইয়ে হেলে পড়া সেই ভবন
এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ২ বার ভূমিকম্প: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ভোরে গ্রামে মরদেহ আসার পর স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পরিবার জানায়, আব্দুর রহিম রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাপড়ের ব্যবসা করছিলেন। পুরান ঢাকার সুরিটোলা স্কুলের পেছনে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।
শুক্রবার সকালে মেজো ছেলে রিমনকে (পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র) সঙ্গে নিয়ে বাজারে বের হন। এ সময় হঠাৎ ভূমিকম্পে একটি ভবনের ওপরের রেলিং ভেঙে পড়ে তাদের মাথায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাবা-ছেলে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ন হত ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পে হুড়োহুড়িতে আহত ২৯ শ্রমিক এখনো হাসপাতালে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ডেনিমেক লিমিটেডের তৈরি পোশাক কারখানায় ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে আহত শ্রমিকদের ২৯ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের সময় শ্রমিকদের ধাক্কায় প্রধান গেট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর থেকে কারখানা স্বাভাবিকভাবে চালু রয়েছে। একইসঙ্গে গেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত সংস্কার কাজ চলছে।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাভারে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮
ভূমিকম্পের মুহূর্তে শ্রমিকেরা ভবন থেকে বের হওয়ার সময় মূল গেট বন্ধ থাকায় হুড়োহুড়ি সৃষ্টি হয়। শ্রমিকেরা সম্মিলিতভাবে ধাক্কা দিলে কারখানার একটি দেয়াল কাঠামো থেকে গেট খুলে যায়। ছোটাছুটি করতে গিয়ে অনেকে পদদলিত হয়ে আহত হয়।
কারখানার প্রশাসনিক সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জনসহ মোট ২৯ জন শ্রমিক এখনো চিকিৎসাধীন। তাদের অনেকের আজই ছাড় পাওয়ার কথা।
শ্রমিক মো. রাসেল মিয়া জানান, হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনি টের পেয়ে সবাই দৌড়ে নিচে নেমে আসে। ভেতরের গেট খোলা থাকলেও বাইরের প্রধান গেট বন্ধ থাকায় ভিড় জমে যায়। প্রচণ্ড চাপের কারণে কেউ ঠিকমতো বের হতে পারেনি। অবশেষে সবাই মিলে ধাক্কা দিলে সেটি খুলে যায়।
অন্য শ্রমিক আবদুল ওয়াহাব বলেন, “অনেকে পড়ে গিয়ে পায়ে-হাতে, কোমরে আঘাত পেয়েছেন। বেশিরভাগই নারী শ্রমিক।” তিনি জানান, অধিকাংশ আহত শ্রমিক চিকিৎসা শেষে আবার কাজে ফিরেছে।
ডেনিমেক লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) রুবেল মাহমুদ বলেন, “দুটি হাসপাতালে মোট ২৯ জন শ্রমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা, পরিবারের সহায়তা ও যাতায়াত– সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করছি। কারখানার কার্যক্রম যথানিয়মে চলছে।”
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পের পর কমপক্ষে ১৫০ জন শ্রমিক সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ, ঢাকা ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ঢাকা/রফিক/বকুল