ব্যবহারকারীর ভিডিও ফিডে এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নতুন একটি স্লাইডার পরীক্ষা চালাচ্ছে টিকটক। এ স্লাইডারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী নির্ধারণ করতে পারবেন, তাঁরা এআই নির্মিত ভিডিও বেশি দেখতে চান, নাকি কম। টিকটক এ সুবিধা যুক্ত করার পাশাপাশি এআই নির্মিত কনটেন্ট শনাক্তকরণও আরও নির্ভুল করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

নতুন স্লাইডারটি টিকটকের ‘ম্যানেজ টপিকস’ অংশে যুক্ত হবে। এখন যেখানে নাচ, চলতি ঘটনা বা ফিটনেস-সংক্রান্ত কনটেন্ট কতটা দেখতে চান, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেখানেই এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের সুবিধাও পাওয়া যাবে। স্লাইডারে দুই দিকেই দুটি করে লেয়ার থাকবে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী স্পষ্টভাবে জানাতে পারবেন, এআই কনটেন্ট বাড়ানো হবে কি কমানো হবে।

এ সুবিধা কার্যকর করতে হলে টিকটকের নির্ভুলভাবে জানা দরকার, কোন ভিডিও এআই ব্যবহার করে তৈরি। এ কারণেই প্রতিষ্ঠানটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকরণ প্রযুক্তি আপডেট করছে। অনেক ব্যবহারকারী দৃশ্যমান ওয়াটারমার্ক মুছে ফেলেন, বিষয়টি বিবেচনায় রেখে টিকটক তাদের নিজস্ব টুল, যেমন এআই এডিটর প্রো দিয়ে তৈরি সব ভিডিওতে অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক যুক্ত করবে। একইভাবে সি২পিএ কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়ালসসহ আপলোড হওয়া ভিডিওতেও অদৃশ্য পরিচয়চিহ্ন যুক্ত করা হবে। এই ভেরিফিকেশন প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা আগে প্রকাশ পেলেও টিকটক এটিকে একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ধাপ হিসেবে বিবেচনা করছে।

টিকটকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক ও উন্নত শনাক্তকরণ পদ্ধতিটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চালু করা হবে। তবে এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ স্লাইডারটি আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে সীমিতসংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এআই কনট ন ট ব যবহ র ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

সিংহের গর্জন বুঝতে পারে এআই

বনের সিংহের গর্জন রাতের নীরবতা যেন ভেঙে দেয়। গর্জনে আমরা ভয় পাই, কিন্তু বুঝতে পারি না। একটি নতুন গবেষণায় প্রতিটি গর্জনের‌ তথ্য জানার কৌশল বের করেছেন‌ বিজ্ঞানীরা।

গবেষকেরা সিংহের একটি গর্জনের সময় চার ধরনের শব্দ শনাক্ত করেছেন। এই কাজ করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে। বিভিন্ন সিংহের গর্জন একটি ডেটাবেসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দেখা যায়, একটি সিংহ নরম গর্জন দিয়ে শুরু করে।‌ তারপর পুরো গলা দিয়ে শক্তিশালী গর্জন দেয়। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত মধ্যবর্তী গর্জনে স্থানান্তরিত হয়। আর সব শেষে ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ দিয়ে শেষ করে। আগে মনে করা হতো সিংহ ‌একবার‌ই গর্জন করে।

নতুন গবেষণায় ভিন্ন ধরনের গর্জনের তথ্য মিলেছে, যার উত্থান বেশ সংক্ষিপ্ত, পতন দ্রুত ও সর্বোচ্চ কম্পাঙ্ক নিম্ন। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের বিজ্ঞানী জোনাথন গ্রোকট বলেন, ‘সিংহের গর্জন আকর্ষণীয়।‌ একেকটি গর্জন স্বতন্ত্র স্বাক্ষর, যা সিংহের জনসংখ্যার আকার অনুমান করতে ও নিরীক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এআই ব্যবহার করে গর্জন শনাক্তকরণে আমাদের নতুন পদ্ধতি আরও নির্ভুল।’

বয়স, সামাজিক অবস্থান এবং দৈনিক ছন্দের সঙ্গে গর্জনের আচরণ পরিবর্তিত হয়। এআইয়ের মাধ্যমে এই পরিবর্তন বোঝা যায়। কম বয়সী প্রাণীরা কম ডাকে। দলের বাইরের পুরুষেরা গর্জন এড়িয়ে চলে, কারণ উচ্চ কণ্ঠস্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের আকর্ষণ করতে পারে। ভোর হওয়ার আগে গর্জন করে চূড়ায় পৌঁছায় সিংহ, তখন শব্দ অনেক দূর পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে। পানির উত্স আরও বেশি কণ্ঠস্বরজনিত কার্যকলাপে‌ পরিবর্তন দেখা যায়।

নারী সিংহ বা সিংহীরাও ডাকে। যদিও নতুন মায়েরা শাবকদের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ এড়াতে প্রায়ই শান্ত থাকে। গর্জনের মাধ্যমে নিজের আচরণ প্রতিফলিত করে। এসব তথ্য এআই দিয়ে জানা গেছে।‌ এআই প্রতিটি শব্দের ধরণের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেখায়। পুরো গলার গর্জন বেশ দীর্ঘতর হয় এবং উচ্চতর কম্পাঙ্কে পৌঁছায়। মধ্যবর্তী গর্জন দ্রুত ওঠে ও দ্রুত নামে।

জিম্বাবুয়ে কলার পরানো সিংহদের রেকর্ডিংয়ে এআই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।‌‌ এমন এআই-ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস স্বতন্ত্র প্রাণীদের শনাক্তকরণ উন্নত করছে। গবেষণাটি ইকোলজি অ্যান্ড ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: আর্থ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিংহের গর্জন বুঝতে পারে এআই