বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজের দুইদিন পর নুরুল ইসলাম তালুকদার (৬০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের শরীর থেকে ডান চোখ উপড়ানো এবং বাম কান কাটা ছিল।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়দের দেওয়া ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে পুলিশ উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জে গাছের মগডালে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

রাজশাহীতে বন্ধ ঘরে মিলল ব্যক্তির মরদেহ

নিহত নুরুল বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ইয়াসিন তালুকদারের ছেলে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি নুরুল ইসলাম। পরদিন তার ছেলে ইমদাদুল হক এ বিষয়ে ধুনট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শনিবার সকালে ধানক্ষেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দেয়। খবার পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় ধুনট থানা পুলিশ।

কিন্তু ঘটনাস্থলের সীমানা শেরপুরের হওয়ায় সেটি শেরপুর থানা পুলিশকে বুঝিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম।

নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, “নুরুলের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল তার ভাই-ভাতিজাদের। এ নিয়ে মামলাও চলছিল। গত বৃহস্পতিবার এলাকায় পুলিশ এলে নুরুল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই নুরুল নিখোঁজ ছিল। আজ তার লাশ পাওয়া।” জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।” এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/এনাম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ। তার বহুধর্মী গবেষণা বিশ্ব মুসলিমের জন্য অনুপম দৃষ্টান্ত বটে। বিশ্বের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবনী, কর্ম ও লেখার ওপর উচ্চতর গবেষণা করে অনন্য শিখরে আরোহিত হয়েছেন অনেকেই। ইশকে মুস্তফার সাগরে নিমজ্জিত এমন হাস্তির জন্ম যুগান্তরের অনিমেষ বার্তা। চতুর্দশে বাতিল মোকাবিলায় তার বহুমাত্রিক লেখনি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত কাজ করেছে। 

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ১০৭তম ওফাত দিবস উপলক্ষে আলা কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আ. লীগ পুনর্বাসনের চক্রান্ত জনগণ মানবে না: নাহিদ

নানা আয়োজনে ইবির ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত

ইমামে আযম ও আলা হযরত গবেষণা পরিষদ জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার শাইখুল হাদীস হাফেজ সোলাইমান আনসারীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের আহবায়ক মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হকের আহ্বানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফী।

আলা হযরতের জীবনী ও গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মাওলানা জসিম উদ্দীন আল আজহারী, ড. মাোহাম্মদ শফিকুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান আলকাদেরী, ড. মাসুম বাকী বিল্লাহ, ড. এমদাদুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন নঈমী, মাওলানা ইকবাল হোসাইন আলকাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আজহারী, মুফতি এয়াকুব হোসাইন আলকাদেরী, মুফতি আব্দুল আজিজ রেজবী, শাইখ জয়নুল আবেদীন কাদেরী, সহকারী অধয়াপক আহমদ রেজা, কাজী মুবারক হোসাইন ফরায়জী, আলহ্জ্বা মোহাম্মদ ইকবাল, প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান, আব্দুল মালেক বুলবুল, মোহাম্মদ হোসেন, এডভোকেট নূরুল হুদা আনসারী, মুফতি মহিউদ্দিন হামিদী,  মাওলানা একরামুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম বুলবুলি, মাওলানা মাঈনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, বিশ্বের সেরা তাফসীর গ্রন্থ কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান এবং কানযুল ঈমান ও নুরুল ইরফান বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাফসীর গ্রন্থদ্বয়ে ঈমান- আক্বিদা বিষয়ে তথ্য ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণমূলক টিকা-টিপ্পনী সত্যিই অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। কিয়ামত পর্যন্ত এই গ্রন্থ নূহ (আ.) এর কিস্তির ন্যায় ভূমিকা রাখবে।

চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেযা খান ব্রেরলবি (রহ.) দর্শন ও গবেষণা উগ্রবাদ দমনে শান্তিময় বিশ্ব গড়ার পাথেয়। মানবতার মুক্তির জন্য আমরণ কাজ করে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। ইসলামের মৌলিক বিষয়ের ওপর যখনই আঘাত এসেছে, তাৎক্ষণিক লেখনি ও বক্তব্যের মাধ্যমে তা রোধ করতে সময়ক্ষেপণ করেননি ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভি (রহ.)। তাঁর জেতস্বী বক্তব্য এবং লেখনি ছিল শাণিত তলোয়ারের ন্যায়। তিনি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী লেখতেন এবং বক্তব্য রাখতেন। এই জন্য পথভ্রষ্ঠ বর্ণবাদীরা তাঁকে সমীহ করে চলতো। এমনকি যারা বিশ্বাময় স্বীকৃত বাতিল আলেম তারাও আলা হযরতের গবেষণা ও ফতোয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এক কথায় ঐ শতাব্দীতে সর্বাঙ্গীন বহুমাত্রিক মুকুট হীন সম্রাট ছিলেন তিনি। একজন আলেম হয়েও অর্থনীতি, রাজনীতি, দর্শন এবং সৌরজগতসহ বিবিধ বিষয়ে তাঁর দালিলীক বক্তব্য ছিল সময়ের সেরা আলোচিত বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সিদ্ধ হস্ত ছিলেন বলেই আলা হযরত নামটা বড়ই প্রাসঙ্গিক ছিল।

আলা হযরতের পদাঙ্ক অনুসরণে বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনন্য শিক্ষা মনে করেন বক্তারা।

পরিশেষে মিলাদ ও কিয়াম এবং মোনাজাতের মাধ্যমে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘটে।
 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ