শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলতো সালমানের সংসারে: লিমা
Published: 23rd, November 2025 GMT
বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ আজও রহস্য, শোক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তার মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পরও রহস্যের জট খুলেনি। আদালতের নির্দেশে অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যামামলা হিসেবে পুনরায় গ্রহণ করেছে পুলিশ- এমন সময় নতুন করে আলোচনায় আসেন সালমানের নায়িকা লিমা।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, সালমান শাহর সংসারে নায়িকা শাবনূরকে কেন্দ্র করে অশান্তি চলতো।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। লিমা বলেন, “অমর চিত্রনায়ক সালমান শাহর সঙ্গে আমি দুটি সিনেমায় কাজ করতে পেরেছি, তাই মনে করি আমার জন্ম সার্থক হয়েছে। ভাবতেই পারিনি সালমান শাহর এত ভক্ত আছে বাংলাদেশে। আমি যে তার সঙ্গে দুটি সিনেমায় কাজ করেছি, তখন কিন্তু আমার কাছে একটুও মনে হয়নি তিনি এত বড় সেলিব্রিটি। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যখন সালমান শাহ মারা গেলেন- আহা রে কী মানুষ, আর মানুষ- তার পরের দিন জানতে পারলাম, সালমান শাহর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ১৮ জন মেয়ে মারা গেছে। কোনো পত্রিকায় লিখেছিল ২৮ জন, আর কিছু পত্রিকা লিখেছিল ১৮ জন।”
একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা আরো বলেন, “তারপর আস্তে আস্তে জানতে পারলাম এত বড় সেলিব্রিটি তিনি ছিলেন, কিন্তু আমার সঙ্গে যে দুটি সিনেমায় সালমান কাজ করেছেন, দেখা গেছে একেবারেই সাধারণ একজন ছেলে, কোনো প্যাঁচগোঁজ নেই, একেবারেই সাদামাটা মনের মানুষ ছিলেন সালমান। ‘প্রেম যুদ্ধ’ ও ‘কন্যাদান’ শিরোনামের সিনেমায় অভিনয় করেছি। এ দুটি সিনেমার শুটিং করার সময় সালমানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি আছে, যা বলে শেষ করার মতো নয়। কোনটা রেখে কোনটা বলব। তবে খুবই মজার মানুষ ছিলেন সালমান, শুটিং স্পটে সবাইকে হাসাতে পারতেন দারুণ।”
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলতো জানিয়ে লিমা বলেন, “আমার মনে কষ্ট লাগে ২৯ বছর পার হলো, তার মারা যাওয়ার রহস্য জানতে পারলাম না। আসলে তাকে কি মেরে ফেলা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছেন, এ বিষয়টা এখনো ক্লিয়ার হলো না। তবে আমার বিশ্বাস- সালমান আত্মহত্যা করতে পারেন না, সালমান কিন্তু আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নন। সালমানকে অনেক মিস করি। তার সংসারে অশান্তি চলত নায়িকা শাবনূরকে নিয়ে। তবে সালমানের স্ত্রী সামিরা আমার শুটিংয়েও আসতেন। কিন্তু আমার সঙ্গে বান্ধবীর মতো আচরণ করেছিলেন। যেটাই হোক, আমি সালমান হত্যার বিচার চাই। তাকে যে-ই মারুক না কেন, তার যেন শাস্তি হয়। সালমান আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন, দোয়া রইল।”
ঢাকা/রাহাত/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাখাইয়ে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১১
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের বামৈ পশ্চিম গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, একটি পাগলা কুকুর গ্রামে ঢুকে ১১জনকে কামড়ে আহত করে। পরে স্বজনরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কয়েকজনকে বাড়ি পাঠানো হয়। বাকিরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আরো পড়ুন:
খুবিতে কুকুরের উৎপাত নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাত্বকরণের উদ্যোগ
কালীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে ৭ দিনে আহত অর্ধশতাধিক মানুষ
আহতরা হলেন- বামৈ গ্রামের নাজিল মিয়া (৫০), মহিনুল (৮), সাগর সরকার (২৫), শেফালি সরকার (২২), তামিম চৌধুরী (৭), হাবিবুর রহমান (৫৫), মারিয়া আক্তার (১৫), মাহিনুর (৮), মারজুল (৭), মরিয়ম (২), সিফাত (৪)।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী শামসুল আরেফীন বলেন, কুকুরে কামড় দিলে প্রথমেই ক্ষতস্থান কাপড় বা কাঁচা সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই ব্যান্ডেজ করা যাবে না। কুকুরটিকে যদি প্রাণিসম্পদ বিভাগ ধরে জলাতঙ্কবিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে পারে, তাহলে ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুল আজমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ