কাজী মাহবুব হাসানকে নতুন চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ এবং দেশজুড়ে গ্রাহক-অভিজ্ঞতা উন্নত করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় এ নিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক খাতে বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় দায়িত্বে দুই দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে কাজী মাহবুব হাসানের। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগিতামূলক বাজারগুলোতে রূপান্তরমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন, ডিজিটাল উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়া এবং গ্রাহককেন্দ্রিক কৌশল বাস্তবায়নের সফল অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।

কাজী মাহবুব হাসান সর্বশেষ ‘আর ভেঞ্চারস পিএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা সিইও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি একদম শুরু থেকে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি রবি আজিয়াটার সিআইও হিসেবে তিনি অপারেটরটির আইসিটি, আইওটি, সাইবার নিরাপত্তা এবং বড় মাপের প্রযুক্তিগত রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উন্নত এই সেবাসমূহ নিশ্চিত করেছে প্রায় শূন্য ডাউনটাইম ও নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সেবা।

এর আগে তিনি দিল্লিভেরি, গ্রামীণফোন, ডেলয়েট ইউকে ও আইবিএম ইউকেতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। ডয়চে টেলিকম ও ইউনিলিভারের মতো বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নেও কাজী মাহবুব হাসান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করা কাজী মাহবুব হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর প্রাক্তন শিক্ষার্থী। কাজী মাহবুব হাসান বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটরের অংশ হিসেবে কাজ করার মানে হচ্ছে, মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সুযোগ তৈরি হওয়া। আমি এমন ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে চাই, যারা মানুষের প্রয়োজন বোঝে, তাদের কথা শোনে এবং সহানুভূতির সঙ্গে সহজ ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হব ব হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে মহাসড়কে শুয়ে অবরোধ

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়কে শুয়ে অবরোধ করেছেন দলের এক পক্ষের নেতা–কর্মীরা। আজ শনিবার বিকেলে পবা উপজেলার খড়খড়ি বাইপাস বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের খড়খড়ি বাইপাস বাজার এলাকায় নেতা–কর্মীরা আসতে থাকেন। রাস্তার দুই ধারে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মীরা। রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মিছিল, স্লোগান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা সড়কের মাঝখানে শুয়ে প্রতিবাদ জানান।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তৃণমূলের মর্যাদা যখন বারবার উপেক্ষিত হয়, তখন এইভাবে রাস্তায় শুয়ে পড়া ছাড়া তাঁদের আর কোনো পথ নেই। তাঁদের অভিযোগ, রাজশাহী বিভাগের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে স্থানীয় প্রার্থী মনোনয়ন পেলেও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হককে। তিনি দীর্ঘদিন স্থানীয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন এবং তিনি রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ভোটার। এই কারণে তৃণমূলের মধ্যে তাঁর প্রতি ‘আস্থাহীনতা’ তৈরি হয়েছে বলে জানান নেতা–কর্মীরা।

মাঠপর্যায়ের কর্মীরা দাবি করেন, স্থানীয় নেতাকে উপেক্ষা করে বহিরাগতকে প্রার্থী দেওয়ায় সংগঠনের ভাঙন, কর্মীদের হতাশা ও নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আসনে যাঁরা বছরের পর বছর মামলা-হামলা মোকাবিলা করেছেন, লাঠির সামনে দাঁড়িয়েছেন, রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেননি—প্রার্থী হওয়ার অধিকার তাঁদেরই।

পবা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা যে নেতাকে চিনি, যিনি দলীয় পতাকা বহন করে গ্রেপ্তার হয়েছেন, পালিয়ে থেকেও দলের পক্ষে কাজ করেছেন, সেই জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলমকে বাদ দিয়ে বহিরাগতকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল কখনোই সেটা মেনে নেবে না। আমরা দল ভাঙতে চাই না, কিন্তু তৃণমূলের ঘাম, রক্ত, ত্যাগকে যদি মূল্যায়ন না করা হয়, তাহলে কর্মীরা হতাশ হবেন, ক্ষুব্ধ হবেন।’

কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় রাজশাহী-নাটোর সড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। বিক্ষোভ শেষে নেতা–কর্মীরা ঘোষণা দেন, স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে তাঁদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ