রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত তিন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের একজন কলেজের গণমাধ্যমকর্মী। পুলিশ এসব খবর জানিয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার টানাচ্ছিলেন। কলেজের প্রধান ফটকে ব্যানার টানানোর সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এতে করে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়। সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে থাকা কলেজের গণমাধ্যমকর্মীরাও হামলার শিকার হন।

সংঘর্ষের বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে রাতেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ত ম র কল জ স ঘর ষ র ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে তুলার প্রেস হাউজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড 

বন্দরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার তারে তারে ঘর্ষণে একটি তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মুহুর্তের মধ্য আগুন ছড়িয়ে পরলে ওই সময় আগুন নিভাতে গিয়ে  ৩ জন আহত হয়েছে।

তবে আহতদের নাম পরিচয় তাতাৎক্ষনিক জানা যায়নি। এ ঘটনায় প্রানহানীর কোন খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে  বন্দর ও সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের  পাঁচটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে  আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে  সক্ষম হয়। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুড়িপাড়া ভাংতি এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দমকল কর্মীরা জানান, আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় তাদের আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ধুয়ায় স্থানীয় ৩জন আহাত হয়। তারা স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিৎিসা নেয়। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

কারখানার মালিক দুলহাস মিয়া জানান, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে দুই তারে সংস্পর্শ হয়ে আগুনের ফুলকি পরে কারখানার তুলার উপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো কারখানাতে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটির প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কারখানার ভিতরে হাইড্রলিক প্রেস মেশিনের জন্য তেলের ড্রাম রাখা ছিল। আগুন লাগার ফলে তেলে ড্রামগুলি বিকট শব্দে বিম্ফোরণ হতে থাকে। এতে করে আগুন আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 

স্থানীয় তুলা ব্যসায়ী মনির হোসেন জানান, বিভিন্ন কারখানার তুলা জুলহান মিয়ার প্রেস হাউজে আনা হয় গাইট বাধার জন্য। এ সকল তুলা ভারত, নেপাল, চিনসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। এ কারখানায় আমাদেরও মাল রয়েছে। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের জুন-২ এর উপ সহকারি পরিচালক ওসমান গণী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে কাজ শুরু করি। আমাদের ৫টি ইউনিট দীর্ঘ ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। 

পাশে একটি ডোবা থাকায় আমাদের কাজ করতে সহজ হয়েছে। তবে এতবড় একটি কারখানায় ফায়ার সেফটি আমাদের চোখে পড়েনি। আমরা এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব। আর ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে জানানো যাবে।

এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আগুনের সংবাদ পেয়ে আমাদের ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় ৩ গণমাধ্যমকর্মীর উপর হামলা মামলায় শহিদ গ্রেপ্তার
  • গাজীপুরে ভূমিকম্পে আহতদের বেশির ভাগই বাসায় ফিরেছেন
  • ভূমিকম্পে ঢাকায় আহতদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেবে জেলা প্রশাসন
  • বন্দরে তুলার প্রেস হাউজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড