যুক্তরাষ্ট্রের বর্জনের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশগুলোর জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার ভাষণের মধ্য দিয়ে গতকাল শুরু হয় দুই দিনব্যাপী জি২০ সম্মেলন। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য বিশ্বনেতারা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন—দুজনের কেউই এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না।

আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় হোয়াট হাউস। প্রথমবারের মতো জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ২০তম আসর আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘সংহতি, সমতা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা’।

সম্মেলনে আফ্রিকা মহাদেশের নিম্নআয়ের দেশগুলোর জন্য ঋণমুক্তির ব্যবস্থা আলোকপাত করা হতে পারে; যা উন্নয়নশীল বিশ্বজুড়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে একটি বড় বাধা। এ ছাড়া সম্মেলনে জলবায়ু অভিযোজন, অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা এবং দেশগুলোর মধ্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া পরিকল্পনা নিয়ে কিয়েভের মিত্রদেশগুলো আলোচনা করবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এ আলোচনা হবে। সেখানে প্রস্তাবটিকে দৃঢ় ও কার্যকর করে তোলার উপায় খোঁজা হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র ওই ২৮ দফা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। খসড়া পরিকল্পনাটি প্রকাশ না করা হলেও ইতিমধ্যে এর বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এ পরিকল্পনাকে রাশিয়ার প্রতি পক্ষপাতমূলক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি মেনে নেওয়ার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ চাপের বিষয়ে বলেন, ‘ইউক্রেন ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলোর একটির মুখোমুখি’। জেলেনস্কির এমন মন্তব্যের

এক দিন পর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির ফোনালাপ হয়েছে। এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের ‘বন্ধু ও সহযোগীরা’ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

জি২০তেও অগ্রাধিকার পাচ্ছে জলবায়ু ও ইউক্রেন ইস্যু

যুক্তরাষ্ট্রের বর্জনের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশগুলোর জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার ভাষণের মধ্য দিয়ে গতকাল শুরু হয় দুই দিনব্যাপী জি২০ সম্মেলন। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য বিশ্বনেতারা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন—দুজনের কেউই এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না।

আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় হোয়াট হাউস। প্রথমবারের মতো জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ২০তম আসর আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘সংহতি, সমতা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা’।

সম্মেলনে আফ্রিকা মহাদেশের নিম্নআয়ের দেশগুলোর জন্য ঋণমুক্তির ব্যবস্থা আলোকপাত করা হতে পারে; যা উন্নয়নশীল বিশ্বজুড়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে একটি বড় বাধা। এ ছাড়া সম্মেলনে জলবায়ু অভিযোজন, অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা এবং দেশগুলোর মধ্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া পরিকল্পনা নিয়ে কিয়েভের মিত্রদেশগুলো আলোচনা করবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এ আলোচনা হবে। সেখানে প্রস্তাবটিকে দৃঢ় ও কার্যকর করে তোলার উপায় খোঁজা হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র ওই ২৮ দফা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। খসড়া পরিকল্পনাটি প্রকাশ না করা হলেও ইতিমধ্যে এর বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এ পরিকল্পনাকে রাশিয়ার প্রতি পক্ষপাতমূলক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি মেনে নেওয়ার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ চাপের বিষয়ে বলেন, ‘ইউক্রেন ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলোর একটির মুখোমুখি’। জেলেনস্কির এমন মন্তব্যের

এক দিন পর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির ফোনালাপ হয়েছে। এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের ‘বন্ধু ও সহযোগীরা’ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ