হেলটস: ক্রিতদাস হাওয়া ছাড়া তাদের উপায় ছিলো না
Published: 23rd, November 2025 GMT
হেলটসরা ছিল প্রাচীন স্পার্টার একটি দাস-শ্রেণী, যারা মূলত ল্যাকোনিয়া এবং মেসেনিয়ার জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল। তারা স্পার্টান সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং কিন্তু তারা ছিলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। স্পার্টান রাজতন্ত্র তাদের স্বাধীনতা দিতো না বললেই চলে।
গ্রীক ভূগোলবিদ পাউসেনিয়াসের মতে, “হেলটসরা হেলোস নামক এক অঞ্চল থেকে এসেছে, যাদের ওপর স্পার্টান রাজতন্ত্র প্রভাব খাটাতে শুরু করে। একসময় স্পার্টানরা হেলটসদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে, সে যুদ্ধে হেলটসরা পরাজিত হয়। পরাজিত হওয়ার পর সবাইকে স্পার্টানদের দাস হওয়ার শর্তে জীবন ভিক্ষা দেওয়া হয়।”
আরো পড়ুন:
শীতের পোশাক ভালো রাখার উপায়
পশুপাখিরা কী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পায়?
যদিও তারা রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ছিল, তবুও তারা পরিবার ও সম্পত্তি রাখত এবং কোনো স্পার্টিয়েট তাদের অন্য কোথাও বিক্রি করতে পারত না, এই দিক থেকে তাদের কিছুটা সুরক্ষা ছিল। ধারণা করা হয় হেলটরা ছিল মেসেনীয়দের বংশধর, যাদের স্পার্টানরা খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে পরাজিত করার পর থেকে তারা দাসে পরিণত করেছিল।
অন্য একটি মতে, তারা একটি প্রাচীন গ্রীক উপজাতি অথবা একটি সামাজিক শ্রেণি ছিল। তারা কৃষি ও কারুশিল্পের মতো বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত ছিল। স্পার্টানরা তাদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখত এবং তাদের স্বাধীনতা সীমিত ছিল। হেলটরা সামরিক পরিষেবার বিনিময়ে কিছু ক্ষেত্রে স্বাধীনতাও পেত।
স্পার্টানরা হেলটদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের বিদ্রোহ দমন করতে তাদের তরুণ যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিত। হেলটদের ওপর স্পার্টানদের অত্যাচারের একটি অংশ ছিল ‘ক্রিপ্টিয়া’, যা ছিল একটি গুপ্ত পুলিশ বাহিনী, যারা হেলটদের ওপর নজরদারি করত এবং তাদের হত্যা করত।
হেলটদের ওপর স্পার্টানদের কঠোর শাসন এবং নিপীড়নের কারণে তারা বেশ কয়েকবার বিদ্রোহ করেছিল। তবে, স্পার্টানরা এই বিদ্রোহগুলো দমন করতে সক্ষম হয়েছিল।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হেলটস: ক্রিতদাস হাওয়া ছাড়া তাদের উপায় ছিলো না
হেলটসরা ছিল প্রাচীন স্পার্টার একটি দাস-শ্রেণী, যারা মূলত ল্যাকোনিয়া এবং মেসেনিয়ার জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল। তারা স্পার্টান সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং কিন্তু তারা ছিলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। স্পার্টান রাজতন্ত্র তাদের স্বাধীনতা দিতো না বললেই চলে।
গ্রীক ভূগোলবিদ পাউসেনিয়াসের মতে, “হেলটসরা হেলোস নামক এক অঞ্চল থেকে এসেছে, যাদের ওপর স্পার্টান রাজতন্ত্র প্রভাব খাটাতে শুরু করে। একসময় স্পার্টানরা হেলটসদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে, সে যুদ্ধে হেলটসরা পরাজিত হয়। পরাজিত হওয়ার পর সবাইকে স্পার্টানদের দাস হওয়ার শর্তে জীবন ভিক্ষা দেওয়া হয়।”
আরো পড়ুন:
শীতের পোশাক ভালো রাখার উপায়
পশুপাখিরা কী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পায়?
যদিও তারা রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ছিল, তবুও তারা পরিবার ও সম্পত্তি রাখত এবং কোনো স্পার্টিয়েট তাদের অন্য কোথাও বিক্রি করতে পারত না, এই দিক থেকে তাদের কিছুটা সুরক্ষা ছিল। ধারণা করা হয় হেলটরা ছিল মেসেনীয়দের বংশধর, যাদের স্পার্টানরা খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে পরাজিত করার পর থেকে তারা দাসে পরিণত করেছিল।
অন্য একটি মতে, তারা একটি প্রাচীন গ্রীক উপজাতি অথবা একটি সামাজিক শ্রেণি ছিল। তারা কৃষি ও কারুশিল্পের মতো বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত ছিল। স্পার্টানরা তাদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখত এবং তাদের স্বাধীনতা সীমিত ছিল। হেলটরা সামরিক পরিষেবার বিনিময়ে কিছু ক্ষেত্রে স্বাধীনতাও পেত।
স্পার্টানরা হেলটদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের বিদ্রোহ দমন করতে তাদের তরুণ যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিত। হেলটদের ওপর স্পার্টানদের অত্যাচারের একটি অংশ ছিল ‘ক্রিপ্টিয়া’, যা ছিল একটি গুপ্ত পুলিশ বাহিনী, যারা হেলটদের ওপর নজরদারি করত এবং তাদের হত্যা করত।
হেলটদের ওপর স্পার্টানদের কঠোর শাসন এবং নিপীড়নের কারণে তারা বেশ কয়েকবার বিদ্রোহ করেছিল। তবে, স্পার্টানরা এই বিদ্রোহগুলো দমন করতে সক্ষম হয়েছিল।
ঢাকা/লিপি