চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু
Published: 22nd, November 2025 GMT
নির্বাচনী প্রচারণায় জমে উঠছে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর পতেঙ্গা) আসন। এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তবে দলের মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু। তিনি প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক করছেন। গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়ে সমাবেশ করেন ইসরাফিল খসরু।
বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছেড়ে যায়নি মন্তব্য করে ইসরাফিল খসরু বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জাতির পুনর্জাগরণের নীলনকশা। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। ইসরাফিল খসরু বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত পরপর চারবার এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমীর খসরু মাহমুদ।
এবারের নির্বাচনে এক পরিবার থেকে একজনকে প্রার্থী করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এর মধ্যেও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাফিল খসরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। বাকিটা দলের নীতিনির্ধারকদের বিষয়।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দেব: সাতক্ষীরার ডিসি
সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফরোজা আখতার বলেছেন, “সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনগণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনোভাবেই এ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন, আমরা শুধু এই প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে যা যা করার প্রয়োজন, তাই করব। আমি কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দেব।”
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
আফরোজা আখতার বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে যেসব সমস্যার কথা উঠে এসেছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক সবার সচেতনতা জরুরি। আমরা সেই সচেতনতা তৈরিতে কাজ করব। জনগণের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা না থাকলে কোনো বিষয়ই সরকারের পক্ষে একা সম্ভব নয়।”
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মাহফুজুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারি আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা।
আরো বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সাংবাদিক আবু তালেব মোল্যা, সুশীলনের উপ-পরিচালক জিএম মনিরুজ্জামান, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুসা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা আক্তার বিউটি, সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়েব হাসান বাবু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার আম, কুল, টালি বিদেশে রপ্তানি হলেও মধ্যস্বত্ব ভোগীরা লাভবান হচ্ছে, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রাণসায়ের খাল খনন জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। জুয়া ও মাদকের ভয়াবহতা বেড়েছে। সুন্দরবনসহ পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে তা বিকশিত হচ্ছে না। সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কাজ দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়কের কাজ যেন ভালো হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ