পঞ্চগড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সৌরভ (৩০) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সৌরভের বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর দর্জিপাড়া এলাকায়। 

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় সৌরভ কৌশলে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

শিশুটির পরিবার জানায়, শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে তার মা খুঁজতে গিয়ে সৌরভের ঘরে আপত্তিকর দৃশ্য দেখতে পান। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সৌরভের পরিবারের সদস্যরা শিশুটির বাবাকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ সৌরভকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে আসামি করে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শিশুটির বাবা বলেন, “তার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। তারপরও সে আমার মেয়ের সাথে এমনটা করেছে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধরও করে। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।” 

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.

আবুল কাশেম জানান, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। 

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, “শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/নাঈম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা নদীতে বারুণীর স্নানে পুণ্যার্থীর ঢল

শিবালয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আড়াইশ বছরের পুরোনো বারুণীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যমুনা নদীর তীরে এ স্নান করার জন্য ভারতসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো পুণ্যার্থী জড়ো হন। এ উপলক্ষে নদীতীরে হাজারো পুণ্যার্থীর উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

স্নান উপলক্ষে মাসব্যাপী গ্রাম্যমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে খই, বিন্নি, কসমেটিকস, নাগরদোলা, ফার্নিচারের দোকানসহ পাঁচ শতাধিক দোকান বসেছে। এ উপলক্ষে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

যমুনা নদীর তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের নির্বিঘ্নে স্নান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন বলেন, বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্নান করতে আসা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আরুতী সাহা, কবিতা মণ্ডল, অঞ্জনা সরকার, মিনু দে, পাখি বসু, লিপি সরকার ও সরস্বতী ঘোষ জানান, তারা প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে শিবালয় যমুনা নদীর তীরে বারুণীর স্নান করে আসছেন। প্রতি বছর এভাবে পুণ্য লাভ করছেন। এভাবে হাজার হাজার পুণ্যার্থী পুণ্য লাভ করেন। 

শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, বারুণীর স্নান শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি নিখিল মালো জানান, এবারও বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের মধ্যে গঙ্গা পূজার প্রসাদ বিতরণ করেছেন তারা।

শিবালয় থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপদে বারুণীর স্নান করার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ