সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঈদপূর্ব যানবাহনের চাপ বাড়ছে। বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়লেও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল মোড় থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত অংশের কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই। 

এদিকে মহাসড়কের শৃঙ্খলারক্ষায় বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো শহিদুল্লাহ'র নেতৃত্বে হাটিকুমরুল ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল মাঠে রয়েছে। 

অন্যদিকে যমুনা সেতু পশ্চিম থানাসহ জেলা ও ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় গোল চত্বরে টানা দু’ঘণ্টা অবস্থান করেও যানজট দেখা যায়নি। 

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়, যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় থেকে চান্দাইকোনা হয়ে বগুড়ার শেরপুর, বনানী, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ীসহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের ডজনখানেক নিরাপত্তাশেড তৈরি করা হয়েছে। সড়কের সুশৃঙ্খলা রক্ষায় সেসব সেড থেকে চালক-যাত্রীদের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।

যমুনা সেতুর পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আনোয়ারুল ইসলাম দুপুর আড়াইটায় জানান, ‘ঈদের আগে যানবাহনের চাপ বাড়লেও তুলনামূলক যাত্রীর সংখা কম। হয়তো সন্ধ্যায় বা রাতে বাড়তে পারে।’

তিনি আরও জানান, ‘জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা মহাসড়কের নিরাপত্তা ও ডাকাতির সংবাদ পরিবেশন করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তৎপর হওয়ার নতুন করে আর কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।’ 

এদিকে বৃহস্পতিবারও হাটিকুমরুল মোড়সহ সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার মহাসড়কের নিরাপত্তা পরিদর্শনে আসেন বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহিদুল্লাহ। 

আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে অবস্থানকালে বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের নলকা থেকে বগুড়ার রহবার পর্যন্ত মহাসড়কের শৃঙ্খলতায় ৪২২ জন ঈদের আগে দিনরাত দায়িত্ব পালন করছেন। ঈদের আগে ট্রাক চলাচল বন্ধের বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও ট্রাক মালিক-শ্রমিক সংগঠন সাড়া না দেওয়ায় বাড়তি ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।’ 

সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি ও জেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে আমি অনেকটা দূরে সরে আছি।’ বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহিদ আলম সমকালের মুঠোফোনে সাড়া দেননি। 

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আনায়ারুল কবির পাভেল বলেন, ‘ঢাকা থেকে লক্কর ঝক্কর ও ফিটনেসবিহীন বাসের সংখ্যা বাড়ায় সেসব নিয়ন্ত্রণে ঝামেলায় রয়েছি। তবে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।’ 

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সওজের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কো-অপারেশন সম্প্রসারণ প্রকল্পের (সাসেক) পরিচালক ডক্টর অলিউর রহমান আজ বিকেলে সমকালকে বলেন, ‘এবারের রাস্তাঘাটে কোনো সমস্যা নেই। আশা করছি, সুশৃঙ্খলভাবে উত্তর অঞ্চলের লোকজন ঘরে ফিরতে পারবেন।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স র জগঞ জ র

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ড: পরাধীনতাকে জয় করা এক জাতির গল্প

বিশ্বের মানচিত্রে বিজয়ের সংজ্ঞা সব সময় যুদ্ধক্ষেত্র বা বারুদের গন্ধে সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনো কখনো বিজয় মানে হলো হাজারো ঝড়ের মধ্যেও মাথা নত না করা। আজ ৫ ডিসেম্বর, আমাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ‘জাতীয় দিবস’। একই সঙ্গে দিনটি উদ্‌যাপিত হয় দেশটির ‘ফাদার্স ডে’ বা বাবা দিবস হিসেবেও। কারণ, ১৯২৭ সালের এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার প্রয়াত রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (নবম রামা)।

ডিসেম্বর মাসের বিজয়ের গল্পে থাইল্যান্ডের নাম উঠে আসে এক অনন্য কারণে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড (সাবেক নাম ‘শ্যামদেশ’) কখনোই ইউরোপীয় কোনো শক্তির উপনিবেশ ছিল না। যখন প্রতিবেশী মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া বা ভিয়েতনাম ব্রিটিশ কিংবা ফরাসি শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী ছিল, তখন থাইল্যান্ড তার কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও জাতীয় ঐক্যের জোরে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিজয়। আর আধুনিক যুগে সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আগলে রাখার প্রতীক ছিলেন রাজা ভূমিবল।

থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ