২ / ১০গাছিরা বিক্রির জন্য গুড় নিয়ে হাটে বসেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ দশকের রেকর্ড ভেঙে ‘আফ্রিকার বর্ষসেরার’ মুকুট হাকিমির মাথায়
আফ্রিকান ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চে এবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এক নাম- আশরাফ হাকিমি। লিভারপুলের তারকা মোহাম্মদ সালাহ কিংবা গালাতাসারাইয়ের গোলমেশিন ভিক্টর ওসিমেনকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো মহাদেশের বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিয়েছেন পিএসজির মরোক্কান এই ডিফেন্ডার। ৫২ বছর ধরে অক্ষুণ্ণ থাকা ইতিহাস ভেঙে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন তিনি।
অর্ধশতক পর ডিফেন্ডারের জয়:
১৯৭৩ সালে জাইরের (বর্তমান ডিআর কঙ্গো) সেন্টারব্যাক বোয়াঙ্গা শিমেন ছিলেন শেষ ডিফেন্ডার, যিনি এই সম্মান পেয়েছিলেন। এর পর পাঁচ দশকেও কোনো রক্ষণভাগের খেলোয়াড় এই মঞ্চে উঠতে পারেননি। ২৭ বছর বয়সী হাকিমি সেই শূন্যস্থান পূরণ করলেন এক দুর্দান্ত বছর পেরিয়ে।
আরো পড়ুন:
৫২ বছর পর প্রথমবার বিশ্বকাপে হাইতি
ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও
পুরস্কার হাতে নিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে হাকিমি বলেন, “এটি শুধু আমার নয়- আফ্রিকা থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য। যারা আমার ছোটবেলা থেকে আমাকে বিশ্বাস করেছেন, তাদের সবার প্রতি এটি আমার কৃতজ্ঞতা।”
মাঠে নেতৃত্ব, পরিসংখ্যানে আধিপত্য:
২০২৫ মৌসুমে পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ ওয়ান, কোপা দে ফ্রান্স ও উয়েফা সুপার কাপ; সবকটি শিরোপাই জয় করেছেন হাকিমি। ইনজুরির কারণে কিছু ম্যাচ মিস করলেও বছরের সার্বিক পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো।
আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে? সেখানে তিনি যেন আরেক রূপে। তার নেতৃত্বে মরক্কো ইতিহাস গড়ে ধারাবাহিকভাবে ১৮টি ম্যাচ জিতে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে এবং আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে। এই ধারাবাহিকতার কারণেই সালাহ ও ওসিমেনকে পেছনে ফেলা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সবচেয়ে বেশি বার বর্ষসেরা জয়ের রেকর্ড এখনো সমানভাবে যৌথভাবে ধরে রেখেছেন স্যামুয়েল ইতো ও ইয়াইয়া তুরে। তাদের পথ ধরেই এগোতে চান হাকিমি। যার সামনে এখন নতুন পথ, নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ।
পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মরক্কোর নেতৃত্বে আফ্রিকার সেরা হওয়ার লড়াই:
২১ ডিসেম্বর থেকে মরক্কোর মাটিতে শুরু হতে যাওয়া আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন হাকিমি। ঘরের মাঠে শিরোপার স্বপ্ন আরও বড় হয়ে উঠেছে এই স্বীকৃতির পর।
মরক্কোর পুরস্কার ঝুলিতে আরও সাফল্য:
বর্ষসেরার মঞ্চে একা নন হাকিমি। তার সতীর্থরাও পেয়েছে আরও কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি-
ইয়াসিন বুনো- বর্ষসেরা গোলরক্ষক,
ওসমানে মাম্মা- সেরা তরুণ খেলোয়াড়,
বুবিস্তা (কেপ ভার্দে)- সেরা কোচ (২০২৬ বিশ্বকাপে তোলার কৃতিত্বে)।
নারী ফুটবলে আলো ছড়িয়েছেন নাইজেরিয়ার চিয়ামাকা নাদোজি, যিনি টানা তৃতীয়বারের মতো বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের উইমেন্স সুপার লিগে ব্রাইটনের হয়ে দারুণ পারফর্ম করছেন।
ঢাকা/আমিনুল