শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ আরো ৫০৩ জনকে। ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলসহ ২০১ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

টিসিবির চালের বস্তায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্লোগান

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে এবং শেখ হাসিনার সমস্ত নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করে।

ড.

রাব্বি আলমের হোস্টিংয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হোস্ট, কো-হোস্ট ও অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায়  ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক প্ল্যাটফর্মে দেশ-বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দিবে না মর্মে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিটিং এ বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। মামলা নম্বর-সি আর মামলা নম্বর- ২২২/২০২৫, ধারাঃ দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ১২১/১২১ক/১২৪ক/৩৪।

ঢাকা/এমআর/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে নারীদের প্রশিক্ষণ

শেষ হলো চার মাসব্যাপী শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট ২০২৫। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে পড়া তরুণীদের বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এবং জিআইজেড বাংলাদেশ ও ডেভটেল পার্টনার্স যৌথভাবে এই শক্তিকন্যা উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করছে। এ বছরের কোহর্টে ৭৫ জন অংশগ্রহণকারী নেতৃত্ব, টেকসই জ্বালানি প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা মেন্টরশিপ সেশন, ফিল্ড ভিজিট, আবাসিক বুটক্যাম্পসহ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের প্রতিনিধি, জার্মান দূতাবাস, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। বক্তারা জ্বালানি খাতে নারী–পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা আরও বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় নগণ্য। এই প্রক্রিয়ায় নারীদের নেতৃত্ব আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তাঁরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন শক্তিকন্যার সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত। শক্তিকন্যা নারীদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আরও সমতাপূর্ণ, উদ্ভাবনী, সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা পালন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, জ্বালানি খাতকে নারীবান্ধব করার বিষয়ে আমাদের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই, নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিল ও জাতীয় অগ্রাধিকার নির্ধারণে নেতৃত্ব দেবে। সেই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে তারা নেতৃত্ব দেবে—সেটাও আমাদের চাওয়া।

অনুষ্ঠানে ইনফ্রাস্ট্রাচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইডকল), সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরইএ), বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। টেকসই জ্বালানি খাতে নারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তাঁরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেষ হলো শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে নারীদের প্রশিক্ষণ