শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
Published: 27th, March 2025 GMT
শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।
আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ আরো ৫০৩ জনকে। ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলসহ ২০১ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন
টিসিবির চালের বস্তায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্লোগান
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে এবং শেখ হাসিনার সমস্ত নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করে।
ড.
ঢাকা/এমআর/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল য টফর ম
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ‘স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী’ নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে কেন ভোট দেয়নি রাশিয়া, জানালেন জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ওপর রাশিয়া কেন ভোটদানে বিরত ছিল—সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব সংস্থায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে এই প্রস্তাব করায়নি বলে অভিযোগ করেছেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নেবেনজিয়া বলেছেন, এই দলিলটি (বা নথিটি) যেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘অজুহাত’ না হয়ে ওঠে। ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তারা যে অবাধে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে, এই দলিলটি যেন তার জন্য ঢাল না হয়ে দাঁড়ায়।
নেবেনজিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী (আইএসএফ) কীভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে কাজ করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, এই বাহিনী ‘রামাল্লার অবস্থান বা মতামতকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিতভাবে কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে।’
রাশিয়ার দূত বলেন, ‘এটি গাজা উপত্যকাকে পশ্চিম তীর থেকে আলাদা করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও দৃঢ় করতে পারে। এটি উপনিবেশিক পদ্ধতি এবং ফিলিস্তিনের ওপর জাতিপুঞ্জের ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের সময়কার কথা কথা মনে করিয়ে দেয়। ওই সময়ও ফিলিস্তিনিদের নিজেদের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’
নেবেনজিয়া আরও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে এই বাহিনীর ম্যান্ডেট নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের ‘শান্তি বাস্তবায়নের কাজ আসলে কি তাকে সংঘাতের একটি পক্ষ হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারে, যা শান্তি রক্ষার সীমানা ছাড়িয়ে যাবে’।