নাতনিকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে ইঞ্জিনের ধাক্কায় নানা-নাতনি দুজনেরই মৃত্যু
Published: 27th, March 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কিয়েভ নয়, মস্কোর স্বার্থ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি শান্তি পরিকল্পনার খসড়া করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রস্তাবিত ২৮ দফা এই পরিকল্পনার খসড়া ফাঁস হয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়ার প্রায় সব চাওয়া পূরণ হবে। অন্যদিকে আরও কোণঠাসা হবে ইউক্রেন।
ট্রাম্পের খসড়া প্রস্তাবে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে হওয়া আলোচনায় রাশিয়ার দাবির সঙ্গে বড় সামঞ্জস্য রয়েছে। তখন বর্তমানের চেয়ে ইউক্রেনের আরও বেশি ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে ছিল। আর গত তিন বছরে যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিকভাবে বিভিন্ন দিকে মস্কোর যেসব ব্যর্থতা, তা আলোচনায় ছিল না।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা কার্যকর হলে রাশিয়ার প্রাথমিক দুটি লক্ষ্য পূরণ হবে। প্রথমত, এতে এমন সব শর্ত রয়েছে, যেগুলো রাশিয়ার জন্য এতটাই সুবিধাজনক যে এর সামান্য অংশ মানলেও তা হবে মস্কোর জন্য বড় জয়। দ্বিতীয়ত, এটাকে রাশিয়ান কূটনীতিকেরা একই সঙ্গে আলোচনা ও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।এর মাধ্যমে যখন যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে, তখন তারা চুক্তি করতে চাইবে।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে সাংবিধানিকভাবে অঙ্গীকার করতে হবে যে তারা ন্যাটোতে যোগ দেবে না। নাৎসি ভাবধারার অবসান, নিরপেক্ষ থাকার নিশ্চয়তা ও সেনাবাহিনীর আকার কমিয়ে আনবে। ইস্তাম্বুল আলোচনায় এসব ছিল মস্কোর দাবি, যা ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ করারই শামিল।
ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী জব্দ রুশ তহবিল থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ব্যবহার করা হবে। আপাত মনে হতে পারে এটা রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি ছাড়। তবে যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এখনো মস্কোর দখলে। তহবিলও ব্যবহার করতে হবে রাশিয়ার শর্ত মেনেই। চুক্তিতে মস্কোর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রাশিয়ার জন্য হবে আরেক সাফল্য।
রাশিয়ার চাওয়া অনুযায়ী এতে আরও তিনটি গোপন ঝুঁকি আছে। প্রথমত; চুক্তি স্বাক্ষরের ১০০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের জন্য কার্যত এটা অসম্ভব। এতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এবং নির্বাচনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।
দ্বিতীয়ত; ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দনবাস নামক অঞ্চলে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশগুলোকে ‘অসামরিক অঞ্চল’ ঘোষণা করতে করতে হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ধরনে শর্ত এসব এলাকা রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার সমান। তৃতীয়ত; ‘কারণ ছাড়া মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে চুক্তি বাতিলের’ মতো অস্পষ্ট শর্ত আছে প্রস্তাবিত খসড়ায়। এটা রাশিয়াকে যেকোনো সময় চুক্তি লঙ্ঘনের সুযোগ করে দেবে।