নাতনিকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে ইঞ্জিনের ধাক্কায় নানা-নাতনি দুজনেরই মৃত্যু
Published: 27th, March 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটিংয়ে রান চূড়ায় সৌম্য, বোলিংয়ের মুকুট তানভীরের
জাতীয় ক্রিকেট লিগ দারুণ কাটল সৌম্য সরকার ও তানভীর ইসলামের। খুলনা বিভাগের পারফরম্যান্স খুব একটা ধারাবাহিক না হলেও সৌম্য নিজেকে মেলে ধরেছেন আপন ছন্দে। ঠিক একই অবস্থা বরিশাল বিভাগের স্পিনার তানভীর ইসলামের। স্পিন বিষে ব্যাটসম্যানদের নাকাল করে বোলিংয়ে সবচেয়ে সফল তানভীর।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৭তম আসরের পর্দা নেমেছে গতকাল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। লিগে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সেরা তিনে আছেন সৌম্য সরকার, জাকির হাসান ও মার্শাল আইয়ুব।
খুলনার ওপেনার সৌম্য ৭ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে ৬৩৩ রান করেছেন। ৪ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে করেছেন এই রান। ব্যাটিং গড় ৪৫.২১। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল তার। কিন্তু ১৮৬ রানে থেমে যান। সিলেটের অধিনায়ক জাকির হাসান ৭ ম্যাচে ১৩ ইনিংসে ৬২৮ রান করেছেন, ৫৭.০৯ গড়ে। তার নামের পাশে আছে ৫ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরি।
লিগে এবার রানছুট চলেছে ঢাকা বিভাগের মার্শাল আইয়ুবের। বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবারের লিগেই ১০ হাজার রান পেরিয়ে গেছেন তিনি। লিগে ৭ ম্যাচে ১২ ইনিংসে তার রান ৬২৫। ব্যাটিং গড় সবচেয়ে বেশি, ৬৫.৫০। সবচেয়ে বেশি তিনটি সেঞ্চুরিও তার। ছয়শো কিংবা তার বেশি রান করেছেন এই তিন ব্যাটসম্যানই।
এরপর আছেন প্রীতম কুমার ও নাঈম শেখ। রাজশাহীর প্রীতম ৭ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে ৫৭৪ রান করেছেন। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি আছে তার। ময়মনসিংহের অধিনায়ক নাঈম শেখ ১২ ইনিংসে ৫৪৭ রান করেছেন। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫টি ফিফটি আছে তার।
বোলিংয়ে তানভির সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ৭ ম্যাচে ১৩ ইনিংসে তার উইকেট ৩৪টি। বোলিং গড় ২২.৬১, ইকোনমি ২.৭২। ৫ উইকেট পেয়েছেন দুইবার। ৪ উইকেটও আছে দুইবার। শীর্ষ পাঁচের পরের তিনটি জায়গাতেই আছেন পেসাররা। রংপুর বিভাগকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পেছনের নায়ক মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৪ ম্যাচে ৮ ইনিংসে ২৯ উইকেট পেয়েছেন। ৫ উইকেট আছে ৩টি। ইর্ষণীয় তার বোলিং স্ট্রাইক রেট। ২৩.৯৩। এছাড়া গড় ১৩, ইকোনমি ৩। নাঈম ৫ উইকেট পেয়েছেন দুইবার।
লম্বা সময় পর আলোর দেখা পেয়েছেন পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী। ৫ ম্যাচে ১০ ইনিংসে ২৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। তার ৫ উইকেট আছে ১টি।
পাঁচ নম্বর নামটা সিলেটের আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর। পাঁচ ম্যাচে ১০ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়েছেন এই মিডিয়াম পেসার। ৩৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট সেরা বোলিং ফিগার বাংলাদেশ টেস্ট দলে খেলা এই বোলারের।
লিগে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন সিলেটের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অমিত হাসান। লিগের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি ২১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া বরিশাল বিভাগের স্পিনার রাকিবুল হাসান এক ম্যাচে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন। সিলেটে সিলেটের বিপক্ষে ৫৫.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন