ইপসউইচ ০ : ৪ আর্সেনাল

ইউনাইটেড ০ : ১ উলভস

ফুলহাম ১ : ২ চেলসি

লিভারপুল আজকেই শিরোপা নিশ্চিত করতে পারত। সে জন্য পূরণ হতে হতো দুটি শর্ত। প্রথম শর্তটি ছিল ইপসউইচের বিপক্ষে আর্সেনালের হার এবং দ্বিতীয় শর্ত ছিল লেস্টার সিটির বিপক্ষে নিজেদের জয়। তবে প্রথম শর্তটি পূরণ না হওয়ায় আজ লেস্টার সিটির বিপক্ষে জিতলেও শিরোপা উৎসবে মাতা হবে না লিভারপুলের।

লিয়ান্দ্রো ত্রোসারের জোড়া গোলে ইপসউইচের মাঠে আজ আর্সেনাল জিতেছে ৪-০ গোলে। ফলে এখনো কাগজে-কলমে শিরোপা সম্ভাবনা বেঁচে থাকল ‘গানার’দের।
আজকের জয়ের পর ৩৩ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ৬৬। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৬।

আজ রাতে পরের ম্যাচে লেস্টারের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। সেই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট ব্যবধান গিয়ে হবে ১৩। এরপর লিভারপুল যদি পরের ম্যাচে টটেনহামকেও হারায় তবে আর কোনো হিসাব ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। অর্থাৎ এখন হাতে থাকা ৬ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট পেলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে লিভারপুল।

লিভারপুলের অপেক্ষা বাড়ানোর ম্যাচে অবনমন অঞ্চলের দল ইপসউইচকে শুরু থেকেই চেপে ধরে আর্সেনাল। ম্যাচে প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দেয়নি মিকেল আরতেতার দল। এমনকি পরিসংখ্যানের দিক থেকেও দুই দলের অবস্থান ছিল দুই মেরুতে।

৭৫ শতাংশ বদলের দখল রাখা আর্সেনাল ২৪ শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রেখেছে, বিপরীতে ২৫ শতাংশ বলের দখল রাখা ইপসউইচ ৪টি শট নিলেও কোনোটি লক্ষ্যে ছিল না। আর দাপুটে পারফরম্যান্স দেখানোর ম্যাচে ত্রোসারের জোড়া গোল ছাড়া অন্য গোল দুটি এসেছে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ইথান এনওয়ানেরির কাছ থেকে।

একই রাতে অন্য ম্যাচে আবারও হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মৌসুমের ১৫তম হারটি ইউনাইটেডকে উপহার দিয়েছে উলভস। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে উলভসের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন পাবলো সারাবিয়া। এই হারের পর পয়েন্ট তালিকার ১৪ নম্বরেই থাকল ইউনাইটেড।

ইউনাইটেড না পারলেও শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় পেয়েছে চেলসি। ফুলহামের বিপক্ষে চেলসির জয় ২-১ গোলে। এদিন ম্যাচের ২০ মিনিটে অ্যালেক্স আইওবির গোলে পিছিয়ে পড়ে চেলসি।

এরপর সমতা ফেরানোর জন্য চেলসিকে অপেক্ষা থাকতে হয় ৮৩ মিনিট পর্যন্ত। তাইরিক গিওর্গির গোলে সমতায় ফেরে ব্লুজরা। আর যোগ করা সময়ে পাবলো নেতোর গোলে জয় নিশ্চিত করেছে চেলসি। এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে চেলসি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর স ন ল ন ইট ড

এছাড়াও পড়ুন:

‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’, বলেন বর্ষা

ত্রিভুজ প্রেমের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যেখানে মূল ভূমিকা রেখেছে জোবায়েদের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম এবং লালবাগ বিভাগের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি।

আরো পড়ুন:

জোবায়েদ হত্যা: ছাত্রী বর্ষাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যে কারণে নবজাতককে খালে ফেললেন মা

প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, “এটি একটি ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা। বর্ষা মেয়েটি চালাক, দুই দিকেই সম্পর্ক বজায় রাখত। ঘটনাটি অনেকটা মিন্নি ঘটনার কাছাকাছি।”

তিনি বলেন, “নিহত জুবায়েদ হোসেন (২৫) গত ১ বছর ধরে বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে (১৯) প্রাইভেট পড়াতেন। ৪ মাস আগে বর্ষা জুবায়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু এর আগে বর্ষার সঙ্গে অভিযুক্ত মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

“জুবায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর বর্ষা মাহিরকে জানায়, জোবায়েদকে না সরালে তোমার কাছে ফিরতে পারব না। এরপর বর্ষার প্ররোচনায় মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহমেদ আয়লান জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে,” -বলেন নজরুল ইসলাম।

হত্যার সময় বর্ষা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল এবং সবকিছু নিজ চোখে দেখেছে জানিয়ে ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, “ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরও জোবায়েদ বেঁচে ছিলেন। বাঁচার জন্য দোতলায় উঠে যান। তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে থাকা বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলেন, আমাকে বাঁচাও। কিন্তু বর্ষা জবাবে বলেন, ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না।’ এরপর বর্ষা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।”

পুলিশের তথ্য মতে, ঘটনার দিন বর্ষা ফোনে জোবায়েদের অবস্থান জেনে মাহিরকে জানায়। পরে আরমানিটোলার একটি ভবনের নিচে দেখা করতে আসে জোবায়েদ। সেখানে মাহির ও আয়লান তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মাহির জোবায়েদের গলায় ছুরি চালায়।

রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই জোবায়েদের মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তিনজনই।পুলিশ পরে অভিযান চালিয়ে বর্ষা, মাহির ও আয়লানকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত মঙ্গলবার বংশাল থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দাউদ ইব্রাহিমের প্রেমে পড়েন এই নায়িকা, এরপর...
  • প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন কিশোর গ্যাং নেতা, রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে
  • কালশীতে মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে যুবক আহত
  • গাজীপুরে পথচারীকে ট্রাকের ধাক্কা, সড়ক অবরোধ 
  • লেভারকুসেনকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিল পিএসজি 
  • প্রথম টাই, প্রথম সুপার ওভার, এরপর বাংলাদেশের হার
  • ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডে বর্ষাসহ তিনজনের স্বীকারোক্তি
  • ঠিকাদারের সঙ্গে বিতণ্ডা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত
  • ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’, বলেন বর্ষা