বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (মুকুল) ও নাভারন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান আলীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকেল থেকে উপজেলার বেনেয়ালী এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও নাভারন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বাবলুর রহমান খান বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অন্যান্য ধারার মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে দুটি করে মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন।
এদিকে যশোরে আত্মগোপনে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে গাড়ির বহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে এমন অভিযান চালানো হয়। গণ–অভ্যুত্থানের পর থেকে এসব নেতা আত্মগোপনে আছেন।

পুলিশ বলছে, দলীয় পরিচয়ের কারণে কোনো নেতার বাড়িতে অভিযানে যায়নি পুলিশ। বিভিন্ন মামলার আসামি আটক, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাগল-কাণ্ডের মতিউরের দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর

ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ইশতিয়াক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ মতিউরের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা দুদকের দুটি মামলায় জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।

ইশতিয়াক আহমেদ আরও বলেন, ‘শুনানিতে আমরা বলেছি, উনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে অগাধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তাঁর টাকার মাধ্যমে সন্তানেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাই জামিনে আপত্তি রয়েছে।’

গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এজাহারে বলা হয়, আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলাটি হয় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর। মামলায় মতিউরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আনা হয়।

গত ১৫ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় মতিউর ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত কোরবানি ঈদে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হন মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এর পর থেকে তাঁর বিলাসী জীবনযাপনের নানা তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই ছাগল-কাণ্ডের জেরেই আলোচনায় আসেন ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তখন মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে–বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ