ছবি: সংগৃহীত

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোহাগকে হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব: পুলিশ

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে উপ- কমিশনার জসিমউদদীন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৯ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে এলোপাথারি আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরদিন ১০ জুলাই নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য তা মর্গে পাঠায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ ১১ জুলাই ঘটনাস্থলের পাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।

ডিএমপির লালবাগ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাব এর আগে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনিরকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। সর্বশেষ, ১১ জুলাই দিবাগত রাতে এজাহারভুক্ত আরেক আসামি মো. টিটন গাজীকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, এর সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিম কেন এই হামলার শিকার হলো, তা জানতে একটি চৌকস তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ