আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধার অভিযোগের মামলায় আসামি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও সাংবাদিক
Published: 13th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও।
সোমবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন মৃধা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান এ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দিন।
পুলিশ কর্মকর্তা জামাল বলেন, মামলার এজাহারনামীয় তিনজন আসামিকে মামলার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন: মো.
জান্নাতুল ফেরদৌস জিসান (২১) ‘প্রেস নারায়ণগঞ্জ’ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদদাতা এবং প্রথম আলো পত্রিকার পাঠক সংগঠন ‘বন্ধুসভা’র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তেও কন্ট্রিবিউটর হিসেবে জিসান লেখালেখি করে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে নেতৃত্বে দেওয়া ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জিসান জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলনের সময় পায়ে আঘাতপ্রাপ্তও হন জিসান।
জিসানের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আন্দোলন চলাকালীন নারায়ণগঞ্জে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা এ ছাত্রনেতা।
জিসানের চাচা হাবিবুর রহমান বলেন, “রাত পৌনে একটার দিকে বাসায় আসে সদর মডেল থানা পুলিশ। কোনো সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তারা বাসায় ঢুকে তল্লাশি করতে শুরু করে। পরে জিসান ও তার বাবার নামে মামলা আছে বলে থানায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু কী মামলা সেইটা আমাদের বলে নাই।”
“সকালে আমরা জানতে পারি আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধার ঘটনায় মামলা। কিন্তু অভিযানের রাতে জিসান বা তার বাবা ওই এলাকাতে (দেওভোগ) যায়নি। আমাদের বাসা থেকে দেওভোগ তো কয়েক কিলোমিটার দূরে।”
গ্রেপ্তার শওকত মিথুন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর। জুলাই আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠনে করা তার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়।
মামলায় মিথুনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
মিথুনের বড়ভাই শাহাদাত হোসেন মামুন বলেন, “ঘটনার রাতে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিল মিথুন। অনেক রাতে সে বাড়িতে ফেরে। ঘটনার সময় সে ছিলই না। কিন্তু গতরাতে পুলিশ মিথুনের সাথে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল। পরে আমরা অনেক অনুরোধ করলে তারা তাকে রেখে যায় কিন্তু মিথুনকে ধরে নিয়ে যায়।”
এছাড়া, পুলিশের দায়ের করা ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর পদবি উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সমর্থকরা বাধা প্রদান করে এবং সড়কে ট্রাক দিয়ে বালি ফেলে ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে রাতভর পুলিশকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে নেবার পথে বঙ্গবন্ধু সড়কের কালিরবাজার মোড়ে আইভীর সমর্থক, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধা সৃষ্টি করে। পরে তারা আইভীকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে।
এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।
গত ৮ মে রাতে আইভীকে গ্রেপ্তার করতে নগরীর দেওভোগে তার পৈতৃক বাড়ি ‘চুনকা কুটিরে’ গেলে তার সমর্থক ও স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দেন। আইভীও ‘রাতের আঁধারে’ কোথাও যাবেন না বলে জানান।
পরে সকালে স্বেচ্ছায় গাড়িতে ওঠেন তিনি। তাকে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কালিরবাজার মোড়ে পুলিশের গাড়িবহরে হামলা করা হয়। এতে পুলিশসহ আইভীর বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সাংবাদিক জানান, মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা আইভীকে বহন করা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। ওই সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তাসমিন আক্তার বলেন, “সাবেক মেয়রকে গ্রেপ্তারে গেলে পুলিশ বাধার সম্মুখীন হন। কিন্তু রাতভর পুলিশ খুবই ধৈর্যের সাথে সেখানে অবস্থান করে এবং সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।”
“ঘটনার সময়ের সাক্ষ্য-প্রমাণ, ইন্টেলিজেন্স তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে আসামিদের শনাক্ত করে মামলায় এজাহারভুক্ত করা হয়েছে”, দাবি এ পুলিশ কর্মকর্তার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের আগে এই ধরনের ঘটনা দেখতাম।
তখন অজ্ঞাত মামলায়ও মানুষকে গ্রেপ্তার করা হতো। এইখানে যদি বাবা আওয়ামী লীগ করে থাকে, তাহলেও তো তার দোষে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যেতে পারে না পুলিশ। যে অন্যায়কারী তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এই ধরনের প্র্যাকটিস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা আইনে বলা আছে, একজন নিরপরাধও যেন হয়রানি না হয়।”
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র করত গ র প ত র কর ন র য়ণগঞ জ র ঘটন আইভ ক র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
আইভী গ্রেপ্তার ইস্যু: ২৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা (তালিকা)
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের সরকারি কাজে বাধাপ্রদান, পুলিশের উপর চড়াও হওয়া এবং তার বাড়িতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দারোগা রিপন মৃধা বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা ৫২ আসামি হলো- ০১। শফিকুল ইসলাম বাবু (৪৭) সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, পিতা-মৃত খালেদ সরদার, সাং-সৈয়দপুর বড় বাড়ী, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০২। কামরুল হুদা বাবু (৫২) ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের সহ-সভাপতি, পিতা- মৃত ডা: নুরুল হুদা, সাং-আরামবাগ, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৩। শফিকুল ইসলাম লিটন (৫৮), পিতা-মৃত আমিনুল ইসলাম, সাং-৩৯৭ আলী আহমেদ চুনকা সড়ক, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৪। মাইনউদ্দিন আহম্মেদ রাসেল রাসেল কন্ট্রাকটার (৪৮) পিতা-নুরউদ্দিন আহম্মদ, সাং-৩৭ নং কদমরসুল রোড নবীগঞ্জ, থানা-বন্দর, জেলা-নরায়ণগঞ্জ। ০৫। কবির হোসেন (৪৭) পিতা- মৃত ফরিদ হোসেন, সাং-কদম রসুল বড় বাড়ি, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৬। জামির হোসেন রনি (৪১) পিতা- অজ্ঞাত, সাং-তামাকপট্টি, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৭। মোতালেব হোসেন মাস্টার (৫০) পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, সাং-কাইতাখালি, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৮। আজিম (৫৫) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ১নং বাবুরাইল ভিবাহাসান এর বাড়ীর পাশে, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৯। আলিনুর সুমন (৪৭) পিতা- অজ্ঞাত, সাং-দেওভোগ মেয়রের বাড়ীর সামনে, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১০। শামীম তালুকদার (৫০), যুবলীগ নেতা, পিতা-আলাউদ্দিন, শাসন গাও, এনায়েতনগর ইউনিয়ন, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১১। গোলাম সরোয়ার শুভ (৪৫), পিতা-মৃত জনু মিয়া, সাং-হৃদয় প্লাজা মর্গ্যান স্কুলের সামনে দেওভোগ পাক্কা রোড। ১২। ফারুক (৫৫), পিতা-মৃত - আমিনুল ইসলাম, সাং-৩৯৭ আলী আহমেদ চুনকা সড়ক, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৩। মুকুল (৪১), পিতা-মৃত আমিনুল ইসলাম, সাং-৩৯৭ আলী আহমেদ চুনকা সড়ক, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৪। চঞ্চল (৪০), পিতা-মৃত জনু মিয়া, সাং-হৃদয় প্লাজা মর্গ্যান স্কুলের সামনে দেওভোগ পাক্কা রোড। ১৫। আছিয়া খানম সুমী (৪৫), স্বামী-সোহরাব, সাং-দেওভোগ পানির টাংকির সাথে, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর। ১৬। পলাশ (৪৫) পিতা-আ: কদ্দুস আজাদ, সাং-শহীদ নগর ২নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণঞ্জ। ১৭। হানিফ (৪০), পিতা-কাসেম, সাং-শহীদ নগর ১ নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৮। সুধীর (৫২), পিতা-চান মিয়া, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নার ১৯। শাকিল (২৮), পিতা- হায়দার আলী, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২০। মো: জাহাঙ্গীর আলম বেপারী (৫২) পিতা- জয়নাল আবেদীন, সাং-জালকুড়ি জুটপট্টি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২১। রাসেল (৪২), মৃত হাজী সাত্তার, ডিয়ার সাং-শহীদ নগর ১ নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২২। শামীম (৪৮) পিতা- মৃত আওলাদ, সাং-শহীদ নগর মেম্বার গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৩। মাহমুদা (৩৮) স্বামী- শওকত মিঠুন, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৪। শওকত মিথুন (৪৩) পিতা- আ: হাই, সাং-শহীদনগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৫। সাদ্দাম সানি (৩৫) পিতা- নাজিম উদ্দিন, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৬। রতন প্রধান (৪০) পিতা- কাদির প্রধান, সাং-শহীদ নগর ২নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৭। মাহিন, পিতা- নজরুল, সাং-জে রোড, ওয়ার্ড নং-২৩, নবীগঞ্জ, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৮। রুমেল (৪৭) পিতা- মৃত জামাল মাতাব্বর, সাং-শহীদ নগর ২নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৯। জিসান (২৮) পিতা- হানিফ, সাং-শহীন নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩০। সাইফুল ইসলাম (৫১) পিতা- বাচ্চু মিয়া, সাং-শহীদ নগর মেম্বার গলি, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩১। আরাফাত (২২) পিতা-মৃত সালাউদ্দিন, সাং-শহীদনগর ১নং গলি, ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩২। শিপলু সাদিক (শিপলু বাবু) (৫০) পিতা- মো: মিজানুর রহমান, সাং-শহীদ নগর, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৩। রাতুল (৩৪) পিতা- বাদশা সরদার, সাং-দেওভোগ সরদার বাড়ী, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৪। মিঠু (৫২) পিতা- গিয়াস উদ্দিন, সাং-দেওভোগ মোড়ের পুরাতন বাড়ী সংলগ্ন, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৫। শফি উদ্দিন প্রধান (৫৩) পিতা- মৃত সাহাবুদ্দিন প্রধান, সাং-ডিএন রোড নন্দি পাড়া, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৬। মাথিন, পিতা- মৃত রমিজ উদ্দিন মোল্লা, সাং-পশ্চিম দেওভোগ লিচুবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ ৩৭। ওভি (২৯) পিতা- মৃত দিলিপ মিয়া, সাং- দেওভোগ, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৮। রনি ওরফে মুরগি রনি (৩০), পিতা- অজ্ঞাত (দুধওয়ালা), সাং-খিল মার্কেট, কাশিপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৯। রনি (৪১), পিতা-জয়নাল, সাং-নিতাইগঞ্জ মাইচ্ছাপাড়া বাজার, থানা- থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪০। মো: নয়ন (২৯) পিতা- মো: মোক্তার আলী, মাতা-আছমা বেগম, সাং-বাড়ীর টেক মসিনাবন্দ, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪১। রনি, পিতা- মৃত ভাসা মিয়া, সাং- ২নং বাবুরাইল, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪২। মো: শাহজাহান (৩৭) পিতা-মোঃ মনছুর আলী, সাং-৪৪ বাড়ীর টেক সৈয়দপুর, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৩। ইমরান দেওয়ান, পিতা- ফয়েজ মোল্লা, সাং-বউ বাজার, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৪। রিফাত সরদার, পিতা- মৃত নান্নু সরদার, সাং- দেওভোগ সরদার বাড়ী, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৫। সিদ্দিক মিয়া, পিতা- আমির আলী সাদ, সাং-ইসদাইর বাজার, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪৬। আবুল বাশার বাসেদ (৫০) পিতা- মৃত নুর মোহাম্মদ খান, সাং-ডিএন রোড নন্দি পাড়া, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৭। খোকন ভেন্ডার, পিতা- নসু মিয়া, সাং-মাইরপরশ পাড়া, নবীগঞ্জ, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪৮। সজল ওরফে কান কাটা সজল (৪৫) পিতা- মৃত সোবাহান মিয়া, সাং-নয়াপাড়া পাইকপাড়া ১৭ নং ওয়ার্ড, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৯। রতন সিকদার, পিতা- মৃত আ: রাজ্জাক, সাং-সৈয়দপুর কড়ইতলা, গোগনগর থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৫০। মো: রফিক পাগলা, পিতা- অজ্ঞাত, সাং-সোনারকান্দা হাজীপুর ২০ নং ওয়ার্ড, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৫১। রাসেল, পিতা- হরমুজ আলী, সাং-খানপুর মেইন রোড, (এ্যামিলির বাড়ীর পিছনের বাড়ী) ১২ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৫২। ইমরান (৩২) পিতা- মৃত বারেক, সাং-সুকুম পট্টি, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ০৮-০৫-২০২৫ইং তারিখ রাত্র অনুমান ২২.৪০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ১৫৭ পশ্চিম দেওভোগস্থ ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর বাসায় উপস্থিত হয়ে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী-কে আইনানুগ গ্রেফতার করতে গেলে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থিত লোকজন আইনানুগ গ্রেফতারে বাধা প্রদান করে এবং তার বাসার সামনে চারপাশের রাস্তায় ট্রাক দিয়ে বালি ফেলে এবং বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে এবং পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য যাওয়ার পর পর আইভী সমর্থক আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীগণ বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ও বিভিন্ন মাধ্যমে আইভির গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঘোষণা দিলে স্থানীয় নারীপুরুষসহ আইভির সমর্থিত আরো লোকজন নারীপুরুষ জড়ো করে। উল্লিখিত বিবাদীগণ পুলিশকে আইনানুগ গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করতে থাকে এবং আইভির গ্রেপ্তার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
পুলিশ ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অপেক্ষা করতে থাকে। ইং ০৯/০৫/২০২৫ তারিখ ০৫.৪৫ ঘটিকার সময় ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে পুলিশ গ্রেপ্তারপূর্বক আইনানুগ হেফাজেতে নিয়ে সরকারি পিকআপে উঠিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে।
পথিমধ্যে পুলিশ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উল্লিখিত বিবাদীগণ মিছিল সহকারে বিভিন্ন উত্তেজনাকর শ্লোগান দিয়ে আইভিকে বহনকারী গাড়ী চলাচলে বাধা প্রদান করতে থাকে ইং ০৯/০৫/২০১৫ তারিখ সকাল আনু: ০৬.২০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন কালির বাজারস্থ কাচা বাজারের পশ্চিম পাশে গলা চিপা রাস্তার সামনে বিবি রোডস্থ পাকা রাস্তায় পৌছামাত্র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থক, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আইভীকে আইনানুগ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে বাধা প্রদান করে পুনরায় ব্যারিকেড দেয়।
পুলিশ বাধা দিলে উল্লিখিত বিবাদীগণ আইভিকে বহনকারি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে উক্ত স্থানে উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশের এসআই (নি:) মিলন কুমার হালদার মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন, এসআই মুহাম্মদ খাইরুল বাশার-১ হাতে জখম, কনস্টবল ৭১১ জহিরুল ইসলাম কপালের বামপাশে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দ্রুত গ্রেফতারকৃত আসামী সেলিনা হায়াত আইভী-কে নিরাপদে জেলা গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে যায়।