হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন।

কারাগার থেকে বের হয়ে নুসরাত ফারিয়া স্বজনদের সঙ্গে প্রাইভেট কারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কালো গ্লাসের ওই গাড়িতে করে তিনি কারাগারের ফটক দিয়ে বের হন। এ সময় তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেননি।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার কাওয়ালীন নাহার বলেন, গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার আদালত থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে বেলা তিনটার দিকে তাঁকে মুক্তি দিয়ে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ বেলা দুইটার দিকে নুসরাত ফারিয়ার স্বজনেরা কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে দুটি প্রাইভেট কার ও একটি জিপ গাড়ি ছিল। কারাগারে প্রবেশের সময় নুসরাত ফারিয়ার চাচাতো বোন লামিয়া আক্তার বলেন, ‘আদালত ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তিনি (নুসরাত) কি হত্যা করেছেন? তিনি কি কোনো অপরাধ করেছেন? বিনা দোষে তাহলে কেন এক দিন জেল খাটবেন? এক দিন জেল খাটা কী কষ্টের, সেটা কি আপনারা বোঝেন?’

আরও পড়ুনকাশিমপুর কারাগার থেকে নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্ত১ ঘণ্টা আগে

গত রোববার সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। ৩ মে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। এর মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলা করার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাতকে। আজ সকালে হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে যুবক নিখোঁজ, স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে তার স্বজনদের কাছে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে কল মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

নিখোঁজ যুবকের নাম মো. ফরহাদ জুয়েল (২৭)। তিনি সাতানী গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।

শনিবার (৫ জুলাই) ওই যুবককে খু্ঁজতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক।

আরো পড়ুন:

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ছাত্রশিবিরের ৫ দফা

ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরহাদ জুয়েল তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে মোহনপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে (০১৯২৯৫৮২৪৬৫ ও ০১৭৩৫৫৩৩৫৬২) কল করেও সংযোগ পাননি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরদিন শনিবার সকালে পাঁচানী স্কুলের দক্ষিণ পাশে সামছু মিয়ার বাড়ির কাছে রাস্তার ধারে ফরহাদ জুয়েলের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

এদিকে, নিখোঁজের পরদিন বিকেলে জুয়েলের বড় ভাই সোহেলের মোবাইলে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে এবং তাকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় অপহরণের আশঙ্কা করছেন তারা।

নিখোঁজ যুবকের পিতা মো. আবুল হাসেম থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে বলেন, “আমার ছেলে কোথায় আছে আমরা জানি না। মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে, কিন্তু সে এখনো নিখোঁজ। এমনকি অপরিচিত নম্বর থেকে মুক্তিপণের জন্য ফোন আসায় আমরা ভীষণ আতঙ্কে আছি।”

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক বলেন, “নিখোঁজের বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত ফরহাদ জুয়েলকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/অমরেশ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদপুরে যুবক নিখোঁজ, স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি
  • ভূমি অধিগ্রহণ না করেই কাজ
  • রুমায় অভিযানে নিহত দুই কেএনএ সদস্যের পরিচয় শনাক্ত