লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। 

রামগতি আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, গত ৬ দিনে জেলায় ২০৭.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১৪ জুন ৪২ মিলিমিটার, ১৫ জুন ১১.৪ মিলিমিটার, ১৬ জুন ২১ মিলিমিটার, ১৭ জুন ৪৮.

৪ মিলিমিটার, ১৮ জুন ৮১ মিলিমিটার ও ১৯ জুন ৩.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আগামী ৩-৪ দিন বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। 

রামগতি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. সোহরাব হোসেন জানান, নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারি বৃষ্টিপাতের সাথে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটে জনজীবন বিপর্যস্ত

নীলফামারীতে স্বস্তির বৃষ্টি

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে আবারও পণ্ড

ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজের ছেলের বিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য পিছিয়ে দিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে নিজের পরিবারের ত্যাগের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইসরায়েলি জনগণের কটাক্ষের শিকারও হচ্ছেন তিনি। 

ছেলে আবনারের বিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু নিজেই। বলেন, এই যুদ্ধের জন্য তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ‘ব্যক্তিগত মাশুল’ চোকাতে হচ্ছে। তাঁর পরিবার অন্য সবার মতো ত্যাগের পথে চলছে এখন। 

দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ায় ছেলে আবনার ও তার প্রেমিকা এবং স্ত্রী সারা খুবই কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে তাঁকে এবং তাদের পরিবারকে এই ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি’ মেনে নিতেই হচ্ছে। ‘যুদ্ধের ব্যক্তিগত মূল্য’ চোকানোর সপক্ষে নেতানিয়াহু জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি এখন ইসরায়েলে। 

আবনারের প্রথমবার বিয়ে ঠিক হয়েছিল গত নভেম্বরে। কিন্তু সেই সময় হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা হয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে। যদিও নেতানিয়াহু সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। সেই বিয়ে ঠিক করা নিয়েও ইসরায়েলিদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। কারণ, তখনও গাজায় হিজবুল্লাহর হাতে বন্দি ছিলেন অনেক ইসরায়েলি। 

বিয়ের তারিখ নতুন করে ঠিক হয়েছিল গত সোমবার, ১৬ জুন। কিন্তু ইরানের ওপর হামলা চালানো এবং তেহরানের পাল্টা হামলার পরিস্থিতিতে সেই তারিখও আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান নেতানিয়াহু। 

সোরোকা হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই ভারী মাশুল গুনছি। সেখানে আমার পরিবারও ব্যতিক্রম নয়। নিজের স্ত্রী সারাকে এই পারিবারিক ক্ষতি সামাল দেওয়ার কারণে ‘হিরো’ বলে সম্বোধন করেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধ-ব্যাখ্যাকে ভালোভাবে নেননি ইসরায়েলিরা। অনেকে বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের সঙ্গে ইসরায়েলের তুলনা উচিত হয়নি। আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাবনায় দেশের তুলনায় ব্যক্তিগত ক্ষতির চিন্তা বেশি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে স্ত্রী সারাকে হিরো বলায় আরও বেশি নিন্দিত হয়েছেন নেতানিয়াহু। একজন প্রধানমন্ত্রীকে ‘সীমাহীন আত্মমুগ্ধ’ চরিত্র বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের

সম্পর্কিত নিবন্ধ