নানা আয়োজনে দেশব্যাপী পরিবেশ দিবস পালন
Published: 25th, June 2025 GMT
‘প্লাস্টিকদূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়েছে। এ বছর ৫ জুন ঈদের ছুটি থাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২৫ জুন এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এ দিবস পালন করা হয়।
রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগীয় এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকাল ১০টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো.
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টুকটুক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাছমিনা খাতুন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া, উপস্থিত সকলকে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়।
গোপালগঞ্জ
দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসন স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্ত্বরে একটি হরতকি চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, জেলা বন কর্মকর্তা বিবেকান্দ মল্লিক, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, পরিবেশবিদ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন প্রধান অতিথি।
শরীয়তপুর
সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল নোমান। অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন, এনডিসি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা মো. খলিলুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির। উপস্থিত ছিলেন পরিবেশকর্মী, গবেষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
ঝালকাঠি
সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান ও বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কাওছার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহানা ইয়াসমিন, ঝালকাঠি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা।
পরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
লক্ষ্মীপুর
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবেশ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান, পরিদর্শক মোজাম্মেল হকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/বাদল/আকাশ/অলোক/লিটন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত অন ষ ঠ ন প রস ক র ম হ ম মদ র রহম ন ব র কর সরক র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শুক্রবার রথযাত্রা উৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমের আশা ইসকনের
চলতি বছরের রথযাত্রা উৎসব ঢাকাসহ সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার। এ উপলক্ষে পর্যটক ও ভক্তদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। এরইমধ্যে প্রশাসন থেকে রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, কোষাধ্যক্ষ শ্রী জ্যোতিশ্বর গৌর দাস ব্রহ্মচারী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রী বিমলা প্রসাদ দাস, শ্রী হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস, শ্রী নন্দন আচার্য্য দাস ও ইসকনের উত্তরা আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী শুভ নিতাই দাস।
চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, এবারও সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা হবে। এরইমধ্যে ইসকনের অধীনে ১২৮টি রথযাত্রা উৎসব হবে। এবার রথযাত্রা উৎসবে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম আশা করা হচ্ছে। মহোৎসব সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিজস্ব পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন।
উৎসব ও শোভাযাত্রায় সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য সনাতন সম্প্রদায়সহ ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ৩টায় রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। স্বামীবাগ থেকে রথের শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট পার হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে হাইকোর্টের মোড় হয়ে শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। ৯ দিন পর ৫ জুলাই একই রাস্তা দিয়ে রথ ফিরে আসবে স্বামীবাগ মন্দিরে। একে উল্টো রথযাত্রা বলা হয়।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ঢাকার রথযাত্রা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রথযাত্রা উৎসব। শুক্রবার স্বামীবাগ আশ্রমে সকাল ৮টায় বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে বিকেল ৩টায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন হবে। এবার উৎসবের উদ্বোধনের প্রধান অতিথি এখনও নির্ধারণ হয়নি।
প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। এর ৯ দিনের মাথায় হয় উল্টো রথযাত্রা। রথযাত্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত। পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার প্রচলন হয়। বাংলাদেশেও রথযাত্রা হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব। শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলি কীর্তন, ধর্মীয় নাটকসহ আট দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।