নৌপরিবহন এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শিমুলিয়ায় একটি নৌবন্দর প্রয়োজন। আগেই পরিকল্পনা ছিল, সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌবন্দর করা হবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নদীমাতৃক দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতি আসবে। সরকার স্থায়ীভাবে শিমুলিয়াতে একটি নৌবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো.

সলিম উল্লাহ, জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার গোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফেরি সংকট কমাতে নতুন ফেরি যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয়টি নতুন ফেরি বহরে যুক্ত করা হয়েছে। সারাদেশেই ফেরির সংকট রয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন। সেখানে কার্যকর নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে। ওই অঞ্চলের মানুষ এক প্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তাই তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নৌ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার মনে হয়েছে যেসব প্রকল্প এখন প্রয়োজন নেই, সেগুলো বাদ দিয়ে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি।

পরে তিনি আরিচা ঘাট ও বিআইডব্লিউটিএরর ড্রেজার বেজ পরিদর্শন করেন। এর পর তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ প ট র য় দ লতদ য় কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন। 

গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।  

আরো পড়ুন:

‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’

সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?

পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”  

ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।” 

পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ