শিমুলিয়ায় নৌবন্দর গড়ে তোলা হবে: নৌ উপদেষ্টা
Published: 25th, June 2025 GMT
নৌপরিবহন এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শিমুলিয়ায় একটি নৌবন্দর প্রয়োজন। আগেই পরিকল্পনা ছিল, সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌবন্দর করা হবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নদীমাতৃক দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতি আসবে। সরকার স্থায়ীভাবে শিমুলিয়াতে একটি নৌবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো.
ফেরি সংকট কমাতে নতুন ফেরি যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয়টি নতুন ফেরি বহরে যুক্ত করা হয়েছে। সারাদেশেই ফেরির সংকট রয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন। সেখানে কার্যকর নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে। ওই অঞ্চলের মানুষ এক প্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তাই তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নৌ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার মনে হয়েছে যেসব প্রকল্প এখন প্রয়োজন নেই, সেগুলো বাদ দিয়ে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি।
পরে তিনি আরিচা ঘাট ও বিআইডব্লিউটিএরর ড্রেজার বেজ পরিদর্শন করেন। এর পর তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ প ট র য় দ লতদ য় কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
প্রমোদতরী হিসেবে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে শনিবার (১৫ নভেম্বর) চালু হয়েছে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর সদরঘাটে শতবর্ষী এ প্যাডেল স্টিমার যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুন:
‘নৌপথ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে নৌপরিবহন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়’
শ্রম উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান সংসদ সদস্যের সাক্ষাৎ
আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নদীমাতৃক ঐতিহ্য তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পিএস মাহসুদ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও নৌ-পর্যটনের মধ্যে এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”
তিনি আরো বলেন, “আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে নিয়মিত পর্যটন সেবা শুরু করবে জাহাজটি।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিআইডব্লিউটিসির শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’কে সংস্কার ও পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।”
সাখাওয়াত বলেন, “পিএস মাহসুদ শুধু একটি জাহাজ নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম দেখুক, একসময় নদীই ছিল যোগাযোগ ও সংস্কৃতির প্রাণ।”
তিনি জানান, নদী ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং নৌ-পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়াতে পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্নসহ আরও কয়েকটি পুরনো স্টিমার মেরামতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা জানান, স্টিমারটির সংস্কার ও আধুনিকীকরণে মূল কাঠামো ও ঐতিহাসিক নকশা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে, ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আধুনিক করা হয়েছে।
এতে রয়েছে আধুনিক কেবিন, পর্যটকবান্ধব ডেক ও ডিজিটাল নেভিগেশন ব্যবস্থা।
স্টিমারটি প্রতি শুক্রবার ঢাকা থেকে বরিশাল এবং প্রতি শনিবার বরিশাল থেকে ঢাকা যাবে। সকাল ৮টায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে রাতে বরিশালে পৌঁছাবে।
আগে স্টিমারটি শুধু রাতেই চলত। এবার দিনের ভ্রমণ চালু হওয়ায় পর্যটকরা নদী ও নদীর তীরের সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা করছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি