চট্টগ্রাম ও সিলেটে করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু
Published: 29th, June 2025 GMT
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেটে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে চলতি বছর ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সাতজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩৫।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও তিনজন। এর মধ্যে দু’জন আইসিইউতে রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তিন দিন ধরে হাসপাতালের আইউসিইউতে ছিলেন শহরতলির খাদিমনগর দাসপাড়া এলাকার এক ব্যক্তি (৬৯)। গত শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলেও কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। বর্তমানে সিলেটে শনাক্ত করা করোনা রোগীর সংখ্যা ২০।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ন য় ম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে সিনেট অধিবেশন: তোপের মুখে ৩ আওয়ামীপন্থি শিক্ষকের সভা ত্যাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বার্ষিক সিনেট সভাস্থল ত্যাগ করেছেন আওয়ামীপন্থি তিন সিনেট সদস্য। এদের মধ্যে দুইজন শিক্ষক ক্যাটাগরি এবং একজন অনুষদ ডিন হিসেবে সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় সভা শুরুর পূর্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধী অবস্থান ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এতে তারা সভাস্থল ত্যাগ করেন।
এর আগে, শুক্রবার উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে শিক্ষার্থীরা সিনেট সভায় আওয়ামীপন্থি সদস্যদের দাওয়াতের প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া ফ্যাসিবাদের সহযোগী কোনো সদস্যকে নিয়ে যেন সভা না হয়, তা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষক চাই, ভোটার নয়
ইবিতে সেশনজট নিরসনে শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময়
এদিকে, বিকাল ৩টার কিছুক্ষণ পূর্বে সভার জন্য আসেন নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক শফিক উর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস এবং ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিগার সুলতানা। এদের মধ্যে প্রথম দুজন শিক্ষক ক্যাটাগরিতে এবং একজন অনুষদ ক্যাটাগরিতে সভায় এসেছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিনেট ভবনের ভেতরে আওয়ামীপন্থি তিন শিক্ষক অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সিনেট সভার কক্ষের ফটকের সামনে এসে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন এবং আওয়ামী দোসরদের সিনেট সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তারা প্রক্টরিয়াল বডির হেফাজতে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট সভায় আওয়ামীপন্থি সিনেট সদস্যরাও দাওয়াত পেয়েছেন। আমরা হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের সহযোগী কেউ যদি সিনেট সভায় এলে আমরা তাদের রুখে দেব। তাদের কৃতকর্মের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা পঁচা ডিমের ব্যবস্থা রেখেছি। পক্ষান্তরে জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা শিক্ষকদের জন্য লাল গোলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
জাবি ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “সিনেট অধিবেশনে আওয়ামী দোসরদের দাওয়াত দেওয়ার প্রতিবাদে এবং তাদের আগমন রুখে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে অবস্থান করছে। জুলাইয়ে যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের সমর্থন, প্রশ্রয় ও সহযোগিতা করেছে, তারা শিক্ষকতা পেশার কলঙ্ক। তাদের বিচারের আওতায় আনা আবশ্যক।”
তিনি বলেন, “তাদের নিয়ে সিনেট সভা আমরা হতে দেব না। তবে অভ্যুত্থানে যেসব শিক্ষকরা নৈতিক জায়গা থেকে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তারা শিক্ষকতার মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট ছিলেন। তারা আমাদের অনুকরণীয় অনুপ্রেরণা।”
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য আহসান লাবিব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সিনেট মিটিং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় আওয়ামী দোষরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা জুলাইয়ের রক্ত ও শহীদদের প্রতি অপমানজনক। আমরা কোনোভাবেই চাই না, সিনেট মিটিংয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী দোষর উপস্থিত হোক। কেউ এলে তাদের প্রতিহত করা হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আমরা তাদের নিরাপদে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছি।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী