রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। রাসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটির বাজেট সভায় সর্বসস্মতিক্রমে এই বাজেট অনুমোদিত হয়। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিক প্রশাসক খোন্দকার আজিম আহমেদ।
সভায় তিনি জানান, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন উভয়খাতে মোট আয় ধরা হয়েছে ৮০৬ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ২১১ টাকা ৩৭ পয়সা। আর প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন উভয় খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০৬ কোটি ৩৬ লাখ ২১ হাজার ২১১ টাকা ৩৭ পয়সা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৮৩৭ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৭ টাকা ৫৫ পয়সা, যা ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে হয়েছে ৬০৯ কোটি ৮২ লাখ ২১ হাজার ৬৫৯ টাকা।
সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, সচিব রুমানা আফরোজ ও বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান।
রাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা.
সভায় রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রস ত ব ত ব জ ট উপস থ ত ছ ল ন কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
গত অর্থবছরে আরও সাত দেশে ওয়ালটনের ব্যবসা সম্প্রসারণ
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিনিয়ত ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন নতুন দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন করে সাতটি দেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ওয়ালটনের ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে, এমন দেশের মধ্যে রয়েছে উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ক্যারিবীয় দ্বীপ বার্বাডোজ, ওশেনিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি ও ভানুয়াতু, আফ্রিকার ক্যামেরুন ও কেপ ভার্দে এবং এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।
আন্তর্জাতিক বাজার কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান আবদুর রউফ বলেন, পণ্যের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই ও উচ্চ গুণগতমান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব ও মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে ওয়ালটন এগিয়ে আছে। ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
আবদুর রউফ জানান, চলতি দশকের শুরু থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন। সে জন্য সুদক্ষ ও চৌকস গ্লোবাল বিজনেস টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি দেশে সাবসিডিয়ারি এবং শাখা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া, ক্রেতাদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে বলে ওয়ালটনের এই কর্মকর্তা জানান।
ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, কমপ্রেসর, ফ্যানসসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানিকারক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন পণ্য। বাংলাদেশে ওয়ালটন পণ্য ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে ওয়ালটন আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।