এনসিটি পরিচালনার দায়িত্বে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ড্রাইডক
Published: 7th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার কাজ গতকাল সোমবার থেকে শুরু করেছে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ড্রাইডক। এর আগে রোববার মধ্যরাতে ১৭ বছর ধরে টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাইফ পাওয়ার টেক বন্দর কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ ড্রাইডক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে টার্মিনালের দায়িত্ব হস্তান্তর করে। এ সময় বন্দর, ড্রাইডক ও সাইফ পাওয়ার টেকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় সরাসরি নৌবাহিনীকে না দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত একটি সামরিক জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানার মধ্যেই এটির অবস্থান।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো.
চুক্তি শেষ হওয়ায় সাইফ পাওয়ার টেকের এনসিটি পরিচালনার শেষ দিন ছিল রোববার। ২০০৭ সাল থেকে তারা এটি পরিচালনা করে আসছিল। তবে সাইফ পাওয়ার টেকের জনবল দিয়েই আপাতত এটি পরিচালনা করছে তারা।
সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমীন সমকালকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে বন্দরকে আমরা দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। এনসিটি ছাড়লেও যে কোনো প্রয়োজনে বন্দরকে সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। এনসিটি ছাড়লেও সাইফের কার্যক্রম চুক্তি অনুযায়ী বহাল আছে সিসিটিতে।
চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল আছে। বন্দরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হওয়া ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনারের মধ্যে ৪৪ শতাংশ এককভাবে পরিচালনা হয়েছে এনসিটি থেকে।
প্রথম দিনে ৪ জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস
গতকাল প্রথম দিনেই এনসিটিতে চারটি জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস করে ড্রাইডক কর্তৃপক্ষ। ড্রাইডকের দায়িত্বশীল কেউ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপক সাইফুল আলম বলেন, সাইফ পাওয়ারের জনবল দিয়েই গতকাল অপারেশনাল কাজ পরিচালনা
করে ড্রাইডক কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিনে চারটি জাহাজ থেকে প্রায় তিন হাজার কনটেইনার ওঠানামার কাজ সম্পন্ন হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড র ইডক র পর চ ল এনস ট
এছাড়াও পড়ুন:
সেনানিবাসের অস্থায়ী কারাগার পরিদর্শন করলেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে রাখতে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত অস্থায়ী কারাগার ভবনটি গতকাল মঙ্গলবার পরিদর্শন করেছেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জনবল, নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক কী দরকার হবে, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন।
গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করার কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।
আরও পড়ুনহেফাজতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা, আত্মগোপনে একজন১১ অক্টোবর ২০২৫১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন।
আজ বুধবার রাতে যোগাযোগ করা হলে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এমইএসে অস্থায়ী কারাগার পরিচালনায় নিরাপত্তা প্রস্তুতি কেমন হবে ও কী ধরনের জনবল প্রয়োজন হবে, সে বিষয়ে দেখতে ও খোঁজ নিতে কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা ১৩ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনআটক বললে অবশ্যই ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর১২ অক্টোবর ২০২৫