এক ইনিংসের লড়াই হয়ে গেল লর্ডস টেস্ট
Published: 12th, July 2025 GMT
প্রথম এমন ঘটনা টেস্ট ক্রিকেট দেখেছিল ১৯১০ সালে। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের সমান ১৯৯ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এরপর এমন ঘটনা আজকের আগে আরও সাতবার দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। সর্বশেষ দেখা গেছে ইংল্যান্ডের মাটিতে ১০ বছর আগে। লিডসে ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের সমান ৩৫০ রান প্রথম ইনিংসে করেছিল ইংল্যান্ড।
১০ বছর পর একই ঘটনা দেখল লর্ডস। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৩৮৭ রানে। চড়াই-উতরাইয়ের এক ইনিংস শেষে ভারতও অলআউট হয়েছে ৩৮৭ রান তুলে। সেদিক থেকে বলতে গেলে লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি এখন এক ইনিংসেরই হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে যে দল বেশি রান করবে, জিতবে তারাই। আজ তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ২ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।
এর আগে ভারত তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ৩ উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে। ৫৩ রান নিয়ে লোকেশ রাহুল আর ১৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ঋষভ পন্ত দেখেশুনে ঠান্ডা মাথাতেই খেলছিলেন। ছন্দপতন হয় লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগের বলে। বেন স্টোকসের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন পন্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ১১২ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ৭৪ রান। চতুর্থ উইকেটে রাহুলের সঙ্গে গড়েছেন ১৪১ রানের জুটি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি পেয়েছেন লোকেশ রাহুল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিন–জাদুতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জয় পাকিস্তানের
১৬০ রানের উইকেট—টসের সময় দুই দলের অধিনায়কই কথাটা জোর দিয়ে বলেছেন। টসে হেরে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নামার পর তাদের ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, তারা ১৬০ বা ১৭০ রানের দিকেই এগোচ্ছে। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় পাকিস্তানি স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এলোমেলো হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয় ১১৪ রানে। লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও সেটা পেরোতে ১৮.৪ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের উইকেট অবশ্য খুব বেশি পড়েনি, ৪টি উইকেটই হারিয়েছে তারা। মাঝের ওভারে একটা ধাক্কা খাওয়ার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলে ৩৪ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে দলে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান বাবর আজম। অবশ্য এমন ধাক্কা যে আসতে পারে, সেই ইঙ্গিত ইনিংস বিরতিতেই দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা অল্প রানে অলআউট করতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা পাকিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া নেওয়াজ বলেছিলেন, ‘এখানে স্পিনারদের জন্য অনেক সহায়তা আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
সেই সতর্ক ব্যাটিংটাই পাকিস্তান করেছে। দুই ওপেনারের একজন সাহিবজাদা ফারহান ২৩ করেছেন ২২ বল খেলে, আরেকজন ৩৩ বলে করেছেন ৩৬ রান। বাবরের সতর্ক ব্যাটিংয়ের কথা তো আগেই বলা হলো। অধিনায়ক সালমান আগা আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে করেছেন ১৪ রান। পাকিস্তানের যে ৪টি উইকেট পড়েছে, এর ৩টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা—পাভান রত্নানায়েকে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩১ রান দিয়ে একটি।
আউটের পর শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানের হতাশা, পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের উল্লাস