ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার, পদ স্থগিত
Published: 1st, December 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিক ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে র্যাব-৩ ও ৯ ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
দেলোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় দেলোয়ারের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সালাউদ্দিন মোল্লা দলীয় পদ স্থগিতের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলীপ (৪৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির বাসিন্দা। অপরজন হলেন তাঁর সহযোগী একই গ্রামের বাবুল মিয়া (২৮)। ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় দেলোয়ারসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি মামলা রয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন দেলোয়ারের সহযোগী ও গ্রেপ্তার বাবুলের ভাই একই গ্রামের শাকিল মিয়া (৩৫), পলাশ মিয়া (৩৫), টিটন মিয়া (৩৪), বাপ্পা মিয়া (২৬) ও দেলোয়ার হোসেনের ভাই কাজল মিয়া (৪৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কসহ সাতজনের নামে মামলা২৯ নভেম্বর ২০২৫ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো.
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক ওই নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে হত্যা করেছেন। নিহত সাদ্দাম হোসেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। তাঁর স্ত্রী ও দুটি মেয়ে আছে। শুক্রবার নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া বাদী হয়ে দেলোয়ারসহ সাতজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে হত্যা, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে২৮ নভেম্বর ২০২৫সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে র্যাবের দুটি দল গ্রেপ্তার করেছে। ওই হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও ১৯টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে হত্যা, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে২৮ নভেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় য় গ র প ত র কর ছ ত রদল ন ত র সহয গ কর ছ ন আরও প
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কসহ সাতজনের নামে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলীপসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন (৪৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির বাসিন্দা। অন্য আসামিরা হলেন তাঁর সহযোগী একই গ্রামের বাবুল মিয়া (২৮) ও তাঁর ভাই শাকিল মিয়া (৩৫), পলাশ মিয়া (৩৫), টিটন মিয়া (৩৪), বাপ্পা মিয়া (২৬) ও দেলোয়ার হোসেনের ভাই কাজল মিয়া (৪৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নিহত সাদ্দামের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর স্বজনেরা লাশ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। একপর্যায়ে তাঁরা লাশ নিয়ে সদর থানায় যান। থানা চত্বরে লাশ রেখে মামলা নেওয়ার দাবিতে অবস্থান নেন। রাত সোয়া আটটার দিকে স্বজনেরা মামলার লিখিত এজাহার নিয়ে থানায় পৌঁছান। দ্রুত এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁরা সাদ্দামের লাশ নিয়ে থানা চত্বর ত্যাগ করেন। তবে ১৫ মিনিট পর তাঁরা আবার লাশ থানা চত্বরে এনে অবস্থান শুরু করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলা নেওয়ার পর অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন স্বজনেরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক ওই নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে হত্যা করেছেন। নিহত সাদ্দাম হোসেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। তিনি শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির মোস্তফা কামালের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুটি মেয়ে আছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেনের নামে অস্ত্র ও মাদকের মামলা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেলোয়ার ও একই এলাকার বাসিন্দা সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদারের মধ্যে ঝগড়া ও গোলাগুলি হয়। এতে দেলোয়ার আরও ক্ষিপ্ত হন। দেলোয়ার ও তাঁর সহযোগীরা সন্দেহ করেন, শাকিলের পক্ষের সঙ্গে সাদ্দামের যোগাযোগ আছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে সাদ্দামকে ডেকে নিয়ে যান দেলোয়ার ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা সাদ্দামকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেন। পরে কান্দিপাড়ার শংকর সাহার বাড়ির পূর্বপাশের রাস্তা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে হত্যা, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে২৮ নভেম্বর ২০২৫এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কান্দিপাড়ার মাদ্রাসা রোডে পপুলার প্রেসের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে শাকিল সিকদারকে বন্দুক হাতে গুলি করতে দেখা যায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সাদ্দামের বাবা দেলোয়ার হোসেনসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলার কপি পাওয়ার পর তাঁরা লাশ নিয়ে থানা চত্বর ত্যাগ করেন। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
আরও পড়ুনমামলা নেওয়ার দাবিতে লাশ নিয়ে থানায় স্বজনদের অবস্থান১৪ ঘণ্টা আগে