খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির মিলাদ, দোয়া
Published: 16th, August 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরে ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বাদ এশা বন্দর থানার মাহামুদনগরস্থ বিএনপি কার্যলয়ে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হাজী সামাউন হাবিব, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজিবী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক এড: কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন পোকা,শহিদুল ইসলাম,আলাউদ্দিন মনা, শফিকুল ইসলাম সফি, মাছুম রহমান, আনিছুর রহমান, মোঃ আলাউদ্দিন, ২০ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নাদিম মাহামুদ, যুবদল নেতা হৃদয়,সম্রাট গাজী, সিন, সাদ্দাম, সাজিদ, রিফাদ, আতিক, হাসান কামাল ও স্বপনসহ ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাহামুদনগর বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা রাকিবুল ইসলাম। মিলাদ ও দোয়া শেষে সকলে মাঝে মিষ্টি বিতরন করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী