সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে তাদেরকে গুলি করা হয়। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই যুবকের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে ছিল। 

আরো পড়ুন:

ভারতে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিজিবির উদ্বেগ, বিএসএফের আশ্বাস

নিহত আব্দুর রহমান (২৫) কানাইঘাট উপজেলার আটগ্রাম বড় চাতল (বাকুরি) গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন— জামিল আহমদ, হুসেন আহমদ, আয়নুল হক ও জুমিল আহমদ।

কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে পণ্য চোরাচালানের জন্য ভারতে প্রবেশ করেন আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন। এ সময় বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান আব্দুর রহমান। শনিবার বিকেল পর্যন্ত তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে ছিল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেছেন, ভারত সীমান্ত থেকে মরদেহ আনার প্রক্রিয়া চলছে। 

এ বিষয়ে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো.

জুবায়ের আনোয়ার বলেছেন, এরকম সংবাদ আমরা পেয়েছি। শুক্রবার রাত থেকে মরদেহ শনাক্ত ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।

ঢাকা/নূর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ন হত ব এসএফ র র রহম ন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু
  • বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর