জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা, ফরম পূরণের সময় বাড়ল ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
Published: 20th, September 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের প্রক্রিয়ার সময় ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ফরম পূরণের বর্ধিত সময়—১. আবেদন ফরম পূরণের বর্ধিত তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
২. ডাটা এন্ট্রি নিশ্চয়নের শেষ তারিখ: ২৮ সেপ্টেম্বর ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৩. সোনালী সেবার মাধ্যমে টাকা জমার শেষ তারিখ: ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে—২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শুধুমাত্র Promoted শিক্ষার্থীরা ‘F’ গ্রেড পাওয়া কোর্সে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন করা অনার্স কোর্সের সকল ছাত্রছাত্রী ২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Promoted হয়ে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের কোর্স সম্পন্ন করেছে তারা নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অনার্স কোর্সের সিলেবাস ও সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ড সরকারের বৃত্তি: মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ৮ ঘণ্টা আগেঅনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য—২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Not Promoted হয়েছে অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি ওই সব শিক্ষার্থী অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। Not Promoted শিক্ষার্থীকে আগের বছরের পাস করা কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে যারা ২০২৩ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ‘C’ বা ‘D’ গ্রেড পেয়েছে শুধুমাত্র তারাই ২০২৪ সালের পরীক্ষায় উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে সর্বোচ্চ দুটি কোর্সে এবং ‘F’ গ্রেড প্রাপ্ত সব কোর্সে পরীক্ষা দিতে হবে।
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ বর ষ র স প ট ম বর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বহুরূপী শিক্ষাবৈষম্যের বহুমাত্রিক আঘাত
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের উৎস ছিল শিক্ষাবৈষম্যের অনেক ক্ষেত্রের মধ্যে একটি—শিক্ষার সমাপ্তিতে কর্মসংস্থানে বৈষম্য, যা কোটা আন্দোলন নামে পরিচিত। গণ–অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। রাষ্ট্র ও সমাজে রূপান্তরের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে, শিক্ষা রূপান্তরের উদ্যোগ এতে থাকবে—এ রকম আশ্বাস পাওয়া গেল অধ্যাপক ইউনূসের জাতির উদ্দেশে প্রথম গণভাষণে (২৫ আগস্ট ২০২৪)। কিন্তু প্রথমেই খটকা লাগল, যখন দেখা গেল রাজনীতি, অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে সংস্কারের পরামর্শ দেওয়ার জন্য ১১টি উচ্চমর্যাদার কমিশন গঠন করা হলো, কিন্তু শিক্ষার জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হলো না।
শিক্ষার সুযোগ ও মানের বৈষম্য ঔপনিবেশিক কালেই শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের আধা ঔপনিবেশিক আমলেও শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে প্রণীত কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে অন্তত মৌলিক শিক্ষার স্তর পর্যন্ত রাষ্ট্রের দায়িত্বে সর্বজনীন সুযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে—এই প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই শিক্ষানীতি এখনো বলবৎ আছে। কিন্তু সব শিশুর জন্য গ্রহণযোগ্য মানসম্মত শিক্ষার অধিকার বা সুযোগ ২০২৫ সালেও প্রতিষ্ঠিত হয়নি; বরং শিক্ষাব্যবস্থাই সমাজের বিদ্যমান বহুমাত্রিক বৈষম্যকে আরও পাকাপোক্ত করার ইন্ধন জোগাচ্ছে।
২
শিক্ষার সংকটের বর্ণনা হিসেবে বৈষম্য কথাটি বহুল আলোচিত। শিক্ষার নানা বিদ্যমান সমস্যা, ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এর প্রতিক্রিয়া বৈষম্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে সমস্যার প্রকৃতি বোঝা ও সমাধানের পথ খোঁজা সহজ হতে পারে। সে জন্য শিক্ষার বৈষম্যের প্রকাশ ও স্বরূপ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
যেকোনো শিক্ষাব্যবস্থার তিনটি উপাদানে বৈষম্যের প্রতিফলন ঘটে—শিক্ষার সুযোগ প্রাপ্তি বা অভিগম্যতা, শিক্ষার সংস্থান ও সেবার মান এবং শিক্ষা থেকে অর্জিত ফল। অভিগম্যতা সাধারণত শিক্ষার সংখ্যাগত বিস্তার দিয়ে বোঝানো হয়। এটাকেই শিক্ষার অগ্রগতির বয়ান হিসেবে সব ক্ষমতাসীন সরকার প্রচার করে। কিন্তু এখানে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। প্রথমত, গড় ভর্তির হার থেকে সমাজের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর চিত্র পাওয়া যায় না। দারিদ্র্য অভিগম্যতায় এক বড় বাধা; কারণ, সরকারি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক হলেও আসলে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়া বা কোচিং অপরিহার্য মনে করা হয়। ২০২২ সালে শিশুশ্রম জরিপে দেখা যায়, ৫-১৭ বছরের শিশুদের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ১৮ লাখ শিশুশ্রমে নিযুক্ত ছিল, যা তাদের পড়ালেখা ব্যাহত করেছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ছিল, যা তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ এখনো শহরের বিদ্যালয় থেকে পিছিয়ে আছে