‘আপনার হৃদস্পন্দন সচল রাখুন’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ এর আয়োজন করা হয়েছে। হাসপাতালে আগত সব দর্শনার্থী, রোগীদের স্বজন ও অন্যরা তাদের হার্টের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন, বিশেষ সেবা গ্রহণ করেন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে হৃদরোগ ও প্রতিকারের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা.

মো. আসিফুদ্দোজা। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের স্বনামধন্য অধ্যাপকরা উপস্থতি ছিলেন।

অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ডা. আবদুজ জাহের, কো চেয়ারম্যান ছিলেন ডা. এ পি এম সোহরাবুজ্জামান ও ডা. লুতফর রহমান।

প্যানেল অফ এক্সপার্ট হিসেবে ছিলেন ডা. আমজাদ হোসাইন, ডা. সমীরন কুমার সাহা, ডা. শংকর নারায়ন দাস, ডা. মো. লোকমান হোসাইন, ডা. অরুণ কুমার শর্মা, ডা. এস মোকাদ্দাস হোসেন (সাদী) এবং ডা. নুর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডা. মাহবুবুর রহমান।

ল্যাবএইড হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদে দাউদ অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যিালসের নির্বাহী ডিরেক্টর (মার্কেটিং ও কমার্শিয়াল) এসএম নূর হোসাইন, ল্যাবএইড হাসপাতালরে হেড অব অপারেশন ইফতেখার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দেশের প্রথম NABH স্বীকৃত হাসপাতাল ‘ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল’–এ শুরু হয়েছে ‘বিশেষ সেবা পক্ষ’। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে তা চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং প্যাকেজের আওতায় হার্টের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে, প্রয়োজনে পাওয়া যাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা

দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন

বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল

শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।

দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।

পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।

দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।

স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”

অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।

দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”

আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”

ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
  • দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
  • বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর: মির্জা ফখরুল
  • সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা সদিচ্ছা অপরিহার্য: নিসচা
  • ‎চার দিনের ছুটিতে পুঁজিবাজার
  • ব্যাংক টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে টাকা তুলবেন কীভাবে
  • পূজার ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন
  • চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন