জিওসি মেজর জেনারেল নাজিমউদ্দৌলার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন
Published: 1st, October 2025 GMT
কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নাজিমউদ্দৌলা। বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নগরীর ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বর পাঠশালার মহাশাঙ্গন পূজামণ্ডপে উপস্থিত হয়ে পূজার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় পূজামণ্ডপে এসে জিওসি মন্দির কর্তৃপক্ষ ও আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে উপস্থিত ভক্তদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানান।
আরো পড়ুন:
পূজায় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবদহ জলাবদ্ধতা: ৫ নদী খননের কাজ পেল সেনাবাহিনী
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেজর জেনারেল নাজিমউদ্দৌলা বলেন, “আমরা সকলে এ দেশের মানুষ। প্রত্যেকটা ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে আমরা সমানভাবে অংশীদার। হিন্দু সম্প্রদায় এখন দুর্গাপূজা পালন করছে, কিন্তু আমি মনে করি, এটি শুধু তাদের উৎসব নয়, আমাদের সবার আনন্দের দিন।’’
এ নেতা কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘‘আমি ঘুরে দেখেছি, খুব সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতেও একই সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”
জিওসির পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ ও সদস্য সচিব সঞ্জিৎ দেবনাথ।
সারা দেশে সনাতন ধর্মালম্বীরা দুর্গাপূজা উদযাপন করছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।