‘দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩৬ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন’
Published: 11th, October 2025 GMT
দেশে ২ দশক ধরে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হলেও প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে স্ক্রিনিং সেবা এখনো যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি। প্রতি বছর কত নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কতজন মারা যাচ্ছেন- এর সঠিক তথ্য সরকারের কাছে নেই। ফলে বাংলাদেশকে এখনো আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যানে নির্ভর করতে হচ্ছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস সেমিনার ২০২৫’-এ এসব কথা বলেন বক্তারা।
আরো পড়ুন:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ক্যানসার প্রতিরোধে ভুল ধারণা ও বাস্তবতা
ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে উপজেলা প্রশাসন
কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা.
এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনসালটেন্ট ডা. কাজী ইশরাত জাহান, ডা. কামরুল ইসলাম মামুন (ময়নামতি মেডিকেল কলেজ) এবং ডা. এম.এম.এম. আরিফ হোসেন (ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস)। স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রমা সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা মো. জহিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সামাজিক ট্যাবু ও ভয় দূর করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। আমরা চাই কুমিল্লা থেকে শুরু হোক ক্যান্সারবিরোধী সচেতনতার নতুন ধারা।
এদিকে বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস মান্থ’ হিসেবে পালন করা হয়। এ বিষয়ে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, অনুষ্ঠানটি নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বক্তারা জানান, প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বে নতুন রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন প্রায় ৬ লাখ ৮৫ হাজার নারী। একই বছরে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার নারী এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৮৩ জন। অর্থাৎ দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩৬ জন নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বক্তাদের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত হলে চিকিৎসায় সাফল্যের হার অনেক বেশি। তবে দেশে স্ক্রিনিং ও প্রাথমিক সেবা সীমিত। সারাদেশে ব্যাপক স্ক্রিনিং কর্মসূচি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
ঢাকা/রুবেল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়াল নিচ্ছে না, ব্রাজিল ডাকছে না, কী হয়েছে বিস্ময় বালক এনদ্রিকের
আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগায় পরের ম্যাচটা খেলবে ১৯ অক্টোবর, হেতাফের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেও যদি দলে সুযোগ না পান এনদ্রিকে, তাহলে তাঁর বেকারত্বের সময়কাল বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৪ দিনে। মানে প্রায় পাঁচ মাস!
১৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সর্বশেষ খেলেছিলেন এই বছর ১৮ মে, সেভিয়ার বিপক্ষে, আগের মৌসুমের শেষ দিকের এক ম্যাচে। তারপর অনেক কিছু বদলে গেছে—রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জাবি আলোনসো, এনদ্রিক পেয়েছেন ক্লাবের ৯ নম্বর জার্সি, তারপর দুবার চোটে পড়েছেন, আবার গ্রীষ্মের দলবদলে তাঁর ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনও ছড়িয়েছে, কিন্তু তিনি কোথাও যাননি।
ওদিকে এ নিয়ে টানা তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিরতি যাচ্ছে, যেখানে এনদ্রিক ব্রাজিল দলে নেই। মার্চে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের ম্যাচেই সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। সেই হারের পরই বরখাস্ত হন কোচ দরিভাল জুনিয়র, তাঁর জায়গায় বসানো হয় কার্লো আনচেলত্তিকে। কিন্তু এনদ্রিকের আর ব্রাজিলের হয়ে খেলা হয়নি।
ব্রাজিলের অনুশীলনে এনদ্রিক